দেবহাটায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনি, নিহত ১
এবার সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায় এক ব্যক্তি গিণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার নলতা ইউনিয়নের খালিষাখালী গ্রামে ডাকাত সন্দেহে কামরুল ইসলাম (৪৮) নামে ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেন এলাকাবাসী। ঘটনাস্থল থেকে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
নিহত কামরুল ইসলাম (৪৮) খলিষাখালী গ্রামের বকর গাজীর ছেলে।
স্থানীরা জানান, শুক্রবার (১ নভেম্বর) ভোর ৫টার দিকে সেনাবাহিনী খলিষাখালীর মৎস্যঘেরে অভিযান পরিচালনা করেন। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে বোমা ফাটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে কয়েকজন ডাকাত। সে সময় স্থানীয়রা ডাকাত কামরুলকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। এতে তার মৃত্যু হয়েছে।
তবে নিহতের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন বলছেন, চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলামের লোকজন তাকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মাদ বলেন, ৫ আগস্টের পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবনতি হওয়ার সুযোগে খলিষাখালীতে ভূমিদস্যুরা এবং ডাকাতরা ঘের দখল করে মহড়া দিতে থাকে। সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার পেয়ে বিভিন্ন স্থানে অস্ত্র উদ্ধারে নামে। শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে খলিষাখালিতে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা জানান, গণপিটুনিতে কয়েকজন আহত হয়েছে। পরে সখিপুর হাসপাতালে কামরুল নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু খবর পেয়েছি আমরা।
সাতক্ষীরা সেনাক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, খলিষাখালীর আকরাম, গফুর ও কামরুল নামের ডাকাতদের কাছে অস্ত্র রয়েছে এমন খবরে সেনাবাহিনী অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় স্থানীয় প্রায় শতাধিক মানুষও তাদের সঙ্গে ছিলন। অভিযানের খবর পেয়ে ডাকাতরা বোমা ফাটাতে থাকলে স্থানীয়রা কামরুল ডাকাতকে মারপিট করে। অভিযানে থাকা সেনাসদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। ঘটনাস্থল থেকে ১৫ টি হাত বোমা, ৩০টি ছোট হাতবোমাসহ বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
নলতা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার লোকজন সেখানে যায়নি। শুনেছি গণপিটুনিতে একজন মারা গেছেন।’
আরটিভি/এমকে
মন্তব্য করুন