শেরপুরে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
শেরপুরে বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তারা হলো ওই এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে মাহিন মিয়া (৬) এবং মনোয়ার হোসেনের ছেলে জুনায়েদ হোসেন (৫)।
শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের আন্ধারিয়া নিজপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জোবায়দুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান পানিতে ডুবে দুই শিশু মৃত্যুর ঘটনাটি জানিয়েছেন। তবে কোনো অভিযোগ থানায় আসেনি।
আরটিভি/এমএ
মন্তব্য করুন
হঠাৎ কলাইখেতে নামল হেলিকপ্টার, অতঃপর...
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পাবনার সাঁথিয়ার ক্ষেতুপড়া ইউনিয়নের মিয়াপুর গ্রামের কলাইখেতে হঠাৎ একটি হেলিকপ্টার অবতরণ করে। আধা ঘণ্টা অবস্থানের পর হেলিকপ্টারটি গন্তব্যে যাত্রা করে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা থেকে আসা হেলিকপ্টারটি পাবনার আতাইকুলা যাওয়ার সময় জরুরি অবতরণ করে। হেলিকপ্টার অবতরণের খবরে সেখানে ভিড় করে এলাকার উৎসুক জনতা।
সাঁথিয়া ফায়ার স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দাসুদেব সরকার জানান, তারা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তবে তার আগেই হেলিকপ্টারটি গন্তব্যে উড়াল দেয়।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, হেলিকপ্টারটি আকিজ গ্রুপের। ঘটনাস্থল থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে আতাইকুলায় তাদের কারখানা রয়েছে। সেখানে যাওয়ার পথে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় পাইলট এটিকে জরুরি অবতরণ করান। হেলিকপ্টার ও যাত্রীদের কোনো ক্ষতি হয়নি।
আরটিভি/এএএ/এসএ
পাইকগাছায় বাড়ির মালিক ও রাজমিস্ত্রির বউ বদল
খুলনার পাইকগাছায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করার সুবাদে মালিকের বউয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে পালিয়ে যায় রাজমিস্ত্রী। ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে রাজমিস্ত্রীর স্ত্রীকে মালিক বিয়ে করার ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। এলাকাবাসী বলেছেন, যেমন কর্ম তেমন ফল। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নে।
জানা গেছে, কাজ করতে এসে পরিচয় ঘটে ঘরের মালিক কামালের স্ত্রীর সাথে রাজমিস্ত্রী মোস্তফা দফাদারের। ৮ দিনের পরিচয়, ৪ দিনের পরকীয়া ও ৫ দিন পর পালিয়ে হয় বিয়ে। রাজমিস্ত্রী মোস্তফা দফাদার উপজেলার শ্রীকান্ঠুপুর গ্রামের সামছুর দফাদারের ছেলে। সামছুর রহমান লস্কর ইউনিয়নের আলমতলা গ্রামের বাসিন্দা হলেও শ্রীকান্ঠুপুর গ্রামে ঘরজামাই থাকেন।
আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে রাড়ুলী গ্রামের কামাল সরদারের বাড়িতে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে আসেন মোস্তফা দফাদার। পরকীয়ার জের ধরে রাজমিস্ত্রী মোস্তফা ঘরের মালিকের স্ত্রীকে ১৫ আগস্ট ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন।
বিষয়টি জানার পর ঘরের মালিক কামালের পরিবার ও এলাকাবাসীর পরিকল্পনায় যোগাযোগ করা হয় মোস্তফার স্ত্রীর পরিবারের সাথে মোস্তফার স্ত্রীর সাথে কামালের বিয়ে দেয়ার জন্য। একপর্যায়ে পাকাপোক্ত আলোচনা শেষে ১৯ সেপ্টেম্বর কামাল সরদারের সাথে বিয়ে হয় মোস্তফার স্ত্রীর।
বিষয়টি উভয়পক্ষের কাছে জানতে চাইলে তারা স্বীকার করেন। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হলে বেশ মুখরোচক হয়েছে। ঘটনাটি জানাজানি হলে উভয়ের বাড়িতে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।
আরটিভি/ ডিসিএনই
প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে মন্তব্য, এবার উপজেলা কর্মচারী বরখাস্ত
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মির পর এবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করে বরখাস্ত হলেন ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদের কর্মচারী এস এম মনিরুজ্জামান।
সোমবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মনিরুজ্জামান উপজেলা পরিষদের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন। একইসঙ্গে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের গোপনীয় সহকারীর (সিএ) দায়িত্বে ছিলেন।
জানা গেছে, প্রথম আলোর অনলাইন পেজের একটি নিউজের লিংকের মন্তব্যের ঘরে মনিরুজ্জামান লিখেছেন, ‘আগে জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল, এখন ফাঁসি নিশ্চিত (যদি বাংলাদেশে জীবিত থাকেন)।’ এরপর বিষয়টি জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমানের নজরে এলে মনিরুজ্জামানকে বরখাস্ত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, তিনি এর আগে ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদকসহ দলের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তাকে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, ‘তিনি যা করছেন সরকারি চাকরিজীবীদের তা করা অনুচিত। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’
এর আগে ফেসবুকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বরখাস্ত হয়েছেন লালমনিরহাটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মি। সেইসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরটিভি/এসএপি
আমার মেয়ে চাকরির বিধি লঙ্ঘন করেছে, এটা অপরাধ: ঊর্মির মা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান নিয়ে ‘কটূক্তি’ করে এবং ছাত্র আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে সম্প্রতি আলোচনায় আসেন সাময়িক বরখাস্ত হওয়া লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি। এবার মেয়ের কর্মকাণ্ড নিয়ে মুখ খুলেছেন তার মা নাসরিন জাহান। বলেছেন, ঊর্মি চাকরির বিধি লঙ্ঘন করেছে। এটা তার ঠিক হয়নি। এটা একটা বড় অপরাধ।
সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির মা নাসরিন জাহান এক সংবাদমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ করিনি, যুদ্ধ দেখিনি। যে যুদ্ধ হয়েছে, সেটা ইতিহাস। তবে ইতিহাসকে অস্বীকার করার উপায় নেই। আমরা আমাদের মা-বাবাকে অস্বীকার করতে পারবো কি?’
তিনি আরও বলেন, ‘ঊর্মি ছাত্রজীবনে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিল না। তবে ২০১৮ সালে কোটা আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিল। তখন তার ৪০তম বিসিএস পরীক্ষা ছিল। সে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করেছে। সেখান থেকে মাস্টার্স করেছে। আমার সন্তানরা কোনো রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নেই। আমরা খুব সাধারণ জীবনযাপন করি।’
স্থানীয় জানান, তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নসিবপুর গ্রামের মো. ইসমাইল হোসেনের মেয়ে। তার বাবা ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ। এ ছাড়াও তিনি ময়মনসিংহ নগরীর ঐতিহ্যবাহী আনন্দ মোহন কলেজসহ বিভিন্ন সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। তবে বর্তমানে তিনি অবসর জীবনযাপন করছেন। ঊর্মির মা নাসরিন জাহান বর্তমানে মুক্তাগাছার হাজী কাশেম আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজে গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বর্তমানে তারা ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারের পেছনে কাশর জেল রোড এলাকায় নিজ বাসায় বসবাস করেন।
এ বিষয়ে পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আজিম উদ্দিন বলেন, ঊর্মির ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিলেন। তিনি মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়ালেখা শেষ করে ২০২২ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে ঊর্মি সবার বড়। ছোট ভাই জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ফেসবুকে পোস্ট করে বিতর্কের জন্ম দেন তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি। সেখানে তিনি লেখেন, সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ। কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়। তার এই পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনায় মুখে পড়েন ঊর্মি। এ ঘটনায় গত রোববার ঊর্মিকে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। এরপর সোমবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আরটিভি/এমকে/এআর
স্ত্রীকে নিয়ে লাপাত্তা মুয়াজ্জিন, খবর শুনে অসুস্থ প্রবাসী স্বামী
খুলনার পাইকগাছায় পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে ৩ সন্তানকে রেখে ২ সন্তানের জনক মসজিদের মুয়াজ্জিনের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী। মাকে ফিরে আসার জন্য শিশুকন্যার আহাজারি চলছে প্রবাসীর বাড়িতে। এ খবর পেয়ে সৌদিতে অসুস্থ হয়ে গেছেন প্রবাসী।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের শাহপাড়া গ্রামে। মাকে ফেরত পেতে থানায় অভিযোগ করেছেন এইচএসসি পড়ুয়া প্রবাসীর বড় মেয়ে।
জানা গেছে, চলতি বছর আগস্ট মাসের ১৩ তারিখ সকাল ১০টার দিকে পাইকগাছার ফসিয়ার রহমান মহিলা কলেজে পড়ুয়া মেয়ের কাছে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে সুরাইয়া খানম আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। পরে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামের শওকত গাজীর ছেলে মোতাহার রহমান মিন্টুও (৪০) লাপাত্তা। তিনি চাঁদখালী বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী ও মসজিদের মুয়াজ্জিন। এক বছর আগে সুরাইয়ার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন তারা। সুখের সংসার করার জন্য তারা পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মুয়াজ্জিন মিন্টুর স্ত্রী জানান, ১০ বছরের একটি মেয়ে ও ৪ বছরের ছেলে রেখে পরকীয়া করে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন তার স্বামী। এরপর থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। বাচ্চাদের নিয়ে দরিদ্র বাপের বাড়িতে খুব কষ্টে আছেন বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে পাইকগাছা থানা উপপুলিশ পরিদর্শক শ্যামা প্রসাদ জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। কিন্তু তাদের সন্ধান না পাওয়ায় কিছু করতে পারিনি।
আরটিভি/এফএ/এসএ
বেরোবিতেই চাকরি পেলেন আবু সাঈদের বোন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের ছোট বোন সুমি খাতুনকে চাকরি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী নিয়োগপত্রটি আবু সাঈদের বোনের হাতে তুলে দেন।
চাকরিতে যোগ দিয়ে আবেগাপ্লুত সুমি খাতুন বলেন, আমার ভাই যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে বড় চাকরির স্বপ্ন দেখেছিল তার ক্যাম্পাসেই আমার চাকরি হলো। এটা আমাদের পুরো পরিবারকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করবে। চাকরিপ্রাপ্তিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
নিয়োগপত্রে উল্লেখ করা হয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সুমি খাতুনকে ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট (স্থায়ী) পদের বিপরীতে সেমিনার অ্যাটেন্ডেন্ট পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হলো।
নিয়োগের শর্তগুলো হলো—এই পদে যোগদানের তারিখ থেকে নিয়োগ কার্যকর হবে। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী টাকা ৮৫০০-২০৫৭০/- স্কেলে বেতন ও অন্যান্য ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। কোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে গৃহীত ছাড়পত্র যোগদানের সঙ্গে অবশ্যই জমা দিতে হবে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি গ্রহণ করতে হলে আপনাকে ২ (দুই) মাসের অগ্রিম নোটিশ প্রদান করতে হবে অথবা ১ (এক) মাসের বেতন সম্পূর্ণ করতে হবে। চাকরি গ্রহীতাকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের আওতায় প্রণীত ও প্রণীতব্য সকল সংবিধি, প্রবিধান, রেগুলেশন ও বিধিবিধান দ্বারা পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হবে। বাধ্যতামূলকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোষ্ঠী বিমায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
ওপরে উল্লিখিত শর্ত মোতাবেক আপনি এ নিয়োগ গ্রহণ করতে সম্মত থাকলে আগামী ১৫ (পনের) কার্য দিবসের মধ্যে সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদপত্রসহ অন্যান্য সনদপত্রের প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার নামাঙ্কিত সিল দ্বারা সত্যায়িত অনুলিপি, অভিজ্ঞতার সনদপত্র, শেষ বেতনের প্রত্যয়নপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) এবং যোগদান পত্র নিম্নস্বাক্ষরকারীর দফতরে জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হলো।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে বেরোবির সামনে দফায় দফায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় বেরোবির শিক্ষার্থী ও অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদ এর প্রতিবাদ করলে তাকে লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে গুলি ছোড়ে পুলিশ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আবু সাঈদের, যা পরবর্তীতে রূপ নেয় গণ-অভ্যুত্থানে।
আরটিভি/একে/এসএ
রিসোর্ট থেকে সাবেক অতিরিক্ত সচিবের মরদেহ উদ্ধার
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের একটি রিসোর্ট থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব সালাহ উদ্দিন মাহমুদের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে উপজেলার রাধানগরের বালিশিরা রিসোর্ট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার সরকারি সফরে মৌলভীবাজার আসেন সালাহ উদ্দিন মাহমুদ। তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ছিলেন। বর্তমানে একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে এসএমই ফাউন্ডেশনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জেনারেল হিসেবে কর্মরত। বুধবারও এসএমই ফাউন্ডেশনের কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশ নেন তিনি। প্রোগ্রাম শেষ করে রাত ১০টার দিকে শ্রীমঙ্গলের বালিশিরা রিসোর্টে ঘুমাতে যান। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রুমে গেলে ভিতর থেকে বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ বিকল্প উপায়ে জানালা দিয়ে রুমে প্রবেশ করে মরদেহ উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার সকালেও শ্রীমঙ্গলে এসএমই ফাউন্ডেশনের কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার কথা ছিল তার।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, খবর পেয়ে রিসোর্ট থেকে মরদেহ উদ্ধার করি। রাতের কোনো একসময় তিনি মারা যান।
তিনি বলেন, ঢাকা থেকে স্বজনরা মরদেহ গ্রহণ করতে দেরি হওয়ায় সচিবের সহকর্মী এসএমই ফাউন্ডেশনের এজিএম মাসুদুর রহমানের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। তিনি ঢাকায় রওনা হয়েছেন।
আরটিভি/এএএ/এসএ