রাজবাড়ীতে শিয়ালের কামড়ে নারী ও শিশুসহ ৯ জন আহত
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পৃথক তিন স্থানে হিংস্র শিয়ালের কামড়ে নারী ও শিশুসহ ৯ জন আহত হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়ন এবং পৌরসভার ১ ও ২নং ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. রুহুল আমিন।
তিনি বলেন, রোববার সন্ধ্যার পর থেকে রাতে কয়েক দফায় শিয়াল কামড়ানো রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসেন। আমরা তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেই।
জানা যায়, এ ঘটনায় পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের মাস্টার পাড়ায় একজনকে কামড়ানোর সময় লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে একটি শিয়ালকে হত্যা করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এরপর এলাকায় শিয়াল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আহতরা হলেন, উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের চর পাচুরিয়া গ্রামের খবির শেখের ছেলে হোসাইন মোল্লা (১৬), পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের নগর রায়ের পাড়ার শ্রীদাম রায়ের ছেলে রতন রায় (৫০), হারুন খার স্ত্রী শারমিন বেগম (৩৫) ও নিরোদ মজুমদারের ছেলে নয়ন মজুমদার (২২)।
এ ছাড়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের মাস্টার পাড়ার আহতরা হলেন, শিক্ষক হিরন্ময় কবিরাজের স্ত্রী শিক্ষক নমিতা রানী (৪৫), পলাশ কবিরাজের স্ত্রী স্বাস্থ্যকর্মী চপলা রানী (৩৫), সন্তোষ সূত্রধর (৫৫), দীপালি সরকার (৪২) ও শিশু কনক শীল (৬)। আহতদেরকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।
আহত রতন কুমার রায় বলেন, শিয়াল কামড়ানোর পরপর চিকিৎসার জন্য আমি গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয়। হাসপাতালে নাকি শিয়ালে কামড়ানোর ভ্যাকসিন নেই। তাই বাহির থেকে চড়া দামে ভ্যাকসিন কিনতে হয়েছে।
এ বিষয়ে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোশাররফ হোসেন বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে এ এলাকায় শিয়ালের উপদ্রব বেড়ে গেছে। সপ্তাহখানেক আগে দেওয়ান পাড়ার সাদ্দাম দেওয়ানের ৩ বছর বয়সী শিশু কন্যা নাদিয়াকে শিয়াল আক্রমণ করে মারাত্মক জখম করে। অল্পের জন্য শিশুটি প্রাণে বেঁচে যায়। এ ছাড়া ওই গ্রামের মাহিন সরদারের একটি ছাগলের ওপর হামলা করে জখমসহ ছাগলের লেজ কামড়ে ছিড়ে ফেলে। এভাবে শিয়ালের কামড়ে সাধারণ মানুষ ও গবাদি পশু জখম হচ্ছে। এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য আমরা স্থানীয় প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সহযোগিতা কামনা করছি। সেই সঙ্গে হাসপাতালে ভ্যাকসিন সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
আরটিভি/এমকে
মন্তব্য করুন