হাসিনার সংবিধানের প্রতি এতো দরদ কেন, প্রশ্ন সমন্বয়ক হান্নানের
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ প্রশ্ন রেখে বলেছেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার সংবিধানের প্রতি এতো দরদ কেন, রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর প্রতি এতো দরদ কেন। আসলে ছাত্ররা জীবন দিয়েছে ফ্যাসিবাদকে দূর করার জন্য, কোন অন্যায়কে বরদাস্ত করার জন্য নয়।
শনিবার (৯ নভেম্বর) নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ মহাবিদ্যালয় মাঠে ডা. মোস্তফা হাজেরা ফাউন্ডেশনের ১০ম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনে নোয়াখালীর আহত, নিহত সকল পরিবারের মাঝে অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল হান্নান মাসুদ বলেন, ২০১৩ সালে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, জনগণের সরকার ক্ষমতায় এলে ফ্যাসিস্ট হাসিনার এই সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হবে। আমরা বলতে চাচ্ছি, চব্বিশের গণ-বিপ্লবের মধ্য দিয়ে এখনই জনগণের সরকার ক্ষমতায় আছে। এখনই শেখ হাসিনার এই মুজিববাদী, ফ্যাসিবাদী সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে দিতে হবে।
বলেন, ‘আমরা যখন বলি, ফ্যাসিস্ট হাসিনা বারবার সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করে এ দেশের মানুষের ভাতের অধিকার, ভোটের অধিকার, কেড়ে নিয়েছেন। এ দেশের মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। সেই সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে চব্বিশের তরুণদের হাত ধরে বিজ্ঞজনদের পরামর্শ নিয়ে নতুন সংবিধান রচনা করা হবে। তখন অনেকে বলেন, ফ্যাসিবাদী সংবিধানের কোনো প্রকার কাটাছেঁড়া করা যাবে না। ফ্যাসিবাদের এই সংবিধান নাকি ছুড়ে ফেলে দেওয়া যাবে না, এতে সংবিধানের অমর্যাদা হয়। আমি বুঝতে পারছি না, ফ্যাসিস্ট হাসিনার এই সংবিধানের প্রতি এত দয়া, মায়া বা মমত্ব কিসের।’
ফ্যাসিস্টদের প্রতি যারা মায়া ও দরদ দেখাচ্ছে, তারা রাজনৈতিক দলের কাতারে পড়ে না বলে মন্তব্য করেন আবদুল হান্নান মাসুদ। তিনি বলেন, ‘অনেকে বলছেন, আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল, তাদের রাজনীতি করার অধিকার দিতে হবে, তাদের ভোটাধিকার দিতে হবে। আওয়ামী লীগ যদি রাজনৈতিক দল হয়, তবে গত ১৬ বছর কেন এ দেশের মানুষকে ভোটের অধিকার দেয়নি? তারা রাজনৈতিক দল হয়ে থাকলে কেন আমার দুই হাজারের বেশি ভাই-বোনকে হত্যা করেছে? কেন ১৬ বছর ধরে ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্রদের নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে? সন্ত্রাসী এবং রাজনৈতিক দলের মধ্যে পার্থক্য ধরতে না পারলে আমরা বুঝে নেব, আপনারাও রাজনৈতিক দলের কাতারে পড়েন না। সন্ত্রাসীরা আজীবনের জন্য সন্ত্রাসী। কোনো সন্ত্রাসী ভবিষ্যতে এ দেশের মেম্বার, চেয়ারম্যান, এমপি ও মন্ত্রী হতে পারবেন না। সন্ত্রাসী আর রাজনৈতিক দল কখনো এক হতে পারে না।’
আরটিভি/এমকে
মন্তব্য করুন