যুব মহিলা লীগ নেত্রীর সঙ্গে যুবদল নেতার ফোনালাপ ফাঁস
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি জহুরা বেগমের সঙ্গে উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মাহবুবুর আলমের (লাভলু) একটি ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নাশকতার মামলার চার্জশিট থেকে নাম কাটার বিষয়ে তাদের মধ্যে কথোপকথন হয়।
রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল থেকে ফোনালাপের একটি রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ফোনালাপটি ভাইরাল হওয়ায় আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
কথোপকথন ভাইরাল হওয়া যুব মহিলা লীগ নেত্রীর নাম জহুরা বেগম। তিনি বকশিগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও একই উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। অপরদিকে যুবদলের ওই নেতার নাম মাহবুবুর রহমান (লাভলু)। তিনি বকশিগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব।
দুই মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের ফোনালাপে মামলার তালিকা থেকে নাম কাটার অনুরোধ করেন যুব মহিলা লীগ নেত্রী জহুরা বেগম। তিনি প্রশ্ন করেন, এখন তার নাম চার্জশিট থেকে কাটা যাবে কিনা? উত্তরে মাহবুবুর আলম বলেন, চার্জশিট থেকে কাটা যাবে। তবে আপনি যোগাযোগ কইরেন, কাইটে দিমুনি।’
জহুরা বেগম আবারও বলেন, এখন কী কোনো কিছু করা যাবে? জবাবে মাহবুবুর আলম বলেন, এখন তো কিছু করা যাবে না। তবে মানিক ভাইয়ের (উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মানিক সওদাগর) সঙ্গে বসে কথা বলতে হবে।
আরও বলতে শোনা গেছে, সেই নেত্রীর রাস্তার ঠিকাদারির কাজ চান যুবদলের নেতা মাহবুবুর রহমান। তবে জহুরা বেগম প্রতি উত্তরে মানিক সওদাগরের সঙ্গে বসে কথা বলার অনুরোধ করেন এবং বিএনপির সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে জানতে বকশীগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগের নেত্রী ও উপজেলা ভাইস চেয়াম্যান জহুরা বেগমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাথে কথা সম্ভব হয়নি।
তবে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, একটি ছেলে আমাকে ফোন ধরিয়ে দিয়ে বলে, উনি (জহুরা বেগম) পলাতক আছে, কোনো কাজ করতে পারছে না, একটু কথা বলেন। পরে আমি কথা বলি। আমি সহজ সরল মানুষ। তিনি ফোনে কথা বলার শুরুতেই মামলা নিয়ে কথা বলে। মামলার বিষয়ে আমার কিছুই বলার নেই। কাজের প্রয়োজনে তার সাথে কথা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সজিব জানান, বিষয়টি লোকজনের কাছে শুনেছেন। তবে এখনও অডিওটি শোনেননি তিনি। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ওই নেতার বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ৪ আগস্ট বকশীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় ১ নভেম্বর ৩৩ জনের নামে একটি মামলা করেন গোলাম মোস্তফা নামে এক বিএনপি নেতা। ওই মামলার ৩২ নম্বর আসামি যুব মহিলা লীগ নেত্রী জহুরা বেগম।
আরটিভি/একে
মন্তব্য করুন