বিয়েতে ‘রাজি না হওয়া’ অপহৃত সেই তরুণের মরদেহ উদ্ধার
বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় অপহরণের শিকার সুমন নামে সেই কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে শেরপুর শহরের সজবরখিলা মহল্লার ফুরকান মিয়ার বাড়ির উঠানে পুঁতে রাখা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম।
মরদেহ উদ্ধারের সময় জেলা পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম, ম্যাজিস্ট্রেট, শেরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাকন রেজা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
সুমন শেরপুর পৌরসভার কসবা বারাকপাড়া (নিমতলা) এলাকার কৃষক মো. নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্বজনরা জানায়, সদর উপজেলার বাসিন্দা আন্নি নামে এক তরুণীর সঙ্গে সুমনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অনেক দিন আগে তাদের সম্পর্ক ভেঙে হয়। এরপর আন্নি আরেকজনের সঙ্গে প্রেমে জড়ায়। কিন্তু কিছুদিন ধরে মেয়েটি বিয়ের জন্য সুমনকে প্রস্তাব দিলে তাতে রাজি হয়নি একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলেটি। সাত দিন আগে আন্নি ফোন করে সুমনকে ময়মনসিংহে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার খোঁজ মিলছিল না। গতরাতে আন্নির আরেক প্রেমিক রবিন মিয়ার বাড়ির উঠানে পুঁতে রাখা অবস্থায় সুমনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সুজনের স্বজনরা আন্নি ও প্রেমিক রবিনসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
জেলা পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, সুমন নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেয় তারা। তাকে উদ্ধারে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়।
এসপি আরও বলেন, সুমনকে উদ্ধারে প্রথমে অভিযুক্ত তরুণী আন্নিসহ দুইজনকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত কলেজছাত্র সুমনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও কে কে জড়িত তদন্তসাপেক্ষে বিস্তারিত বেরিয়ে আসবে।
এর আগে, পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেছিলেন, মুঠোফোন ট্র্যাকিং করে সুমনের সর্বশেষ অবস্থান ময়মনসিংহে ছিল বলে জানতে পেরেছিলেন তারা। তবে সুমনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পান তারা।
আরটিভি/এমকে-টি
মন্তব্য করুন