আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে: উপদেষ্টা আসিফ
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ৭২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে তার ভীত অনেক গভীরে। আমরা শুধু গাছটা কাটতে পেরেছি, কিন্ত তার শেকড় এখনও উৎখাত করতে পারিনি, সেই লড়াই আমাদের চালিয়ে যেতে হবে। সেই শিক্ষা মওলানা ভাসানী আমাদের দিয়েছেন। সেই পথ আমাদের দেখিয়েছেন। কিভাবে সে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে, সে রাস্তা তিনি আমাদের দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। আমরা সেটি অনুসরণ করতে চাই এবং লড়াইয়ে সফলকাম হতে চাই।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলে মওলানা ভাসানী ও নতুন বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থী ও যুবকরা পড়াশোনার পাশাপাশি যাতে খেলায় ফিরতে পারে। সেই বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। দেশে যে সকল স্টেডিয়াম রয়েছে তা অনেকগুলো সংস্কার করা প্রয়োজন। সেই স্টেডিয়ামগুলো সংস্কার করে ব্যবহার যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা হবে। বিসিবি আমাদের তালিকা দিয়েছে, সারা দেশের নয়টি স্টেডিয়াম যে গুলোতে আন্তর্জাতিক খেলা কখনও কখনও হতো। কয়েকটা আছে ২৬ বছর আগে আন্তর্জাতিক খেলা হয়েছে। সেগুলোকে ব্যবহার যোগ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা গুলো পূর্ণগঠন চলছে। তাদের জবাব দিহিতা নিশ্চিতে মাধ্যমে, তারা যেন প্রান্তিক পর্যায়ে খেলাধুলাকে পৌঁছে দেয়। আগের মতো যেন খেলাধুলা চলে, তরুণ ও যুবকরা যাতে অংশগ্রহণ করতে পারে সেটিও নিশ্চিত করা হবে।
তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমলাতন্ত্রটা জনগণের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলতো। আমরা মনে করি, তারা জনগণের সেবক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। সেই সেবাটা যেন জনগণকে দেন। প্রভুত্বমূলক জায়গায় না থেকে জনগণের সাথে দূরত্ব কমিয়ে আনতে হবে। তথ্যের ঘাটতি এবং কর্মকর্তাদের যে পাওয়া যায় না এই বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করবো। এজন্য তারা যেন জনগণের পাশে থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবাটা দেন। কোন প্রভুমূলত্ব জায়গায় না থেকে। দূরত্বটা যাতে কমিয়ে আনা যায় সকল মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং জনগণের। এজন্য আমরা কাজ করছি যাতে কেউ বলতে না পারে কোন সরকারি কর্মকর্তাদের পাওয়া যায় না। আমরা কর্মকর্তাদের আরও বেশি জনসম্পৃক্ত হতে বলেছি।
তিনি আরও বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সরকারে আমরা অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছি। দেশে একটি দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রশাসনের প্রত্যেকটি মানুষের মননে মগজে যে ফ্যাসিবাদী চিন্তা যে প্রভুত্বশালী চিন্তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেটা একদিনে কিংবা আমি মনে করি ১০ বছরেও সেটা উপড়ে ফেলা সম্ভব নয়। পুরো একটা প্রজন্মকে সেই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে উঠে আসতে হবে, দাঁড়াতে হবে।
আরটিভি/এএএ/এসএ
মন্তব্য করুন