যে কারণে শিল্পপতিকে ৭ টুকরো করেন পরকিয়া প্রেমিকা

আরটিভি নিউজ

বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ , ০৭:২৩ পিএম


যে কারণে শিল্পপতিকে ৭ টুকরো করেন পরকিয়া প্রেমিকা
ছবি : সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পলিথিনে মোড়ানো সাত টুকরো লাশের সন্ধান মিলেছে। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। প্রেমের সম্পর্কের জেরে জসিমউদ্দিন মাসুম নামের এক ব্যবসায়ীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে জবাই করে হত্যা করা হয়। লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে টুকরো টুকরো করে ব্যাগে ভরে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয়।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, রূপগঞ্জের পূর্বাচলে জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২) সাত টুকরো লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে লাশের পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরে গুলশান থানার একটি জিডির সূত্র ধরে লাশের পরিচয় জানতে পারি। হত্যাকাণ্ডের ভুক্তভোগী হলেন ফতুল্লার চাঁদ ডাইংয়ের মালিক শিল্পপতি জসিম উদ্দিন মাসুম। তিনি বিবাহিত এবং সন্তান রয়েছে।

তিনি বলেন, এই ঘটনায় পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি রুমা আক্তারকে (২৮) রাজধানীর কাফরুল শেওড়াপাড়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে আসামিকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে তার দেখানো স্থান থেকে একটি চাপাতি, হেসকো ব্লেড ও ভুক্তভোগীর পরিহিত সাফারি, এক জোড়া জুতা উদ্ধার করা হয়।

প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানান, প্রেমের সম্পর্কের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। রুমার সঙ্গে শিল্পপতি মাসুমের সম্পর্ক রয়েছে। এর পাশাপাশি মাসুম অন্য আরেক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। বিষয়টি জানতে পেরে, রাগে-ক্ষোভে ও আবেগের বশবর্তী হয়ে তাকে খুন করে। গত ১০ নভেম্বর রাতে রাজধানীর শেওড়াপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মূলত সেখানে একটি ভাড়া বাড়িতে তারা একত্রিত হতেন। প্রথমে তাকে দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করা হয়। এরপর চাপাতি দিয়ে জবাই করে লাশ টুকরো টুকরো করা হয়। সেই টুকরো অংশ প্রথমে পাঠাও ও পরে সিএনজি ভাড়া করে বিভিন্ন স্থানে ফেলেছে। গ্রেপ্তার রুমা ময়মনসিংহ গৌরিপুর থানার তারাকান্দা এলাকার নজর আলীর মেয়ে।

নিহত মাসুমের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ নভেম্বর বিকেলে জসিম গাড়িতে করে বাসা থেকে বের হয়ে গুলশান যান। এরপর ব্যক্তিগত গাড়িচালককে ছেড়ে দেন। চালককে জানিয়েছিলেন, অন্য গাড়িতে নারায়ণগঞ্জের কারখানায় যাবেন। তবে রাতে বাসায় না ফেরা ও মোবাইল বন্ধ থাকায় পরদিন গুলশান থানায় তার বড় ছেলে জিডি করেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্বরোড সড়কের উত্তর পাশে ৫ নম্বর সেক্টরের ব্রাক্ষণখালী এলাকায় লেকের পাড় থেকে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় অজ্ঞাত যুবকের লাশের সাত টুকরো উদ্ধার করে পুলিশ। তিনটি কালো পলিথিনের ব্যাগে করে অজ্ঞাত যুবকের মাথা, দুই হাত, শরীরের পেছনের অংশ, নাড়িভুঁড়ি, বাঁ পা, বাঁ উরুর কাটা অংশ উদ্ধার করা হয়।

আরটিভি/একে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission | powered by TechnoNext Software Limited.