আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের রাজশাহী বিভাগীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
সকল ক্যাডারের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে রাজশাহী বিভাগের আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের উদ্যোগে রাজশাহী বিভাগীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কার্যকর রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন করতে হবে- এই দাবি নিয়ে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ রাজশাহী বিভাগ আয়োজিত এই সম্মেলনে প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া অন্যান্য ২৫টি ক্যাডারের বিভিন্ন ব্যাচের অন্তত ৭০০ কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন গণপূর্ত ক্যাডারের এডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল গোফফার ও বিশেষ অতিথি ছিলেন পোস্টাল ক্যাডারের কর্মকর্তা পোস্টমাস্টার জেনারেল জনাব কাজী আসাদুল ইসলাম। এছাড়া রাজশাহী বিভাগের সকল জেলার আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়কগণ ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়কগণ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সরকারের উপসচিব ও তদূর্ধ্ব পদের জন্য ‘কোটা পদ্ধতি’ বাতিল করে উন্মুক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে মেধার ভিত্তিতে কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে। এছাড়া পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় গঠন অর্থাৎ ‘ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার’ এবং পক্ষপাতদুষ্ট জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন পুনর্গঠন করাসহ বেশ কিছু দাবি ও সুপারিশ করেছে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ।
কর্মকর্তারা দাবি করেন, অনতিবিলম্বে উপসচিব পদে সকল কোটা বাতিল করে মেধাভিত্তিক নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
তারা আরও বলেন, প্রশাসন ক্যাডারের উচ্চতর পদে পদ শূন্য না থাকলেও সুপারনিউমারারি পদোন্নতি দেয়া হয়। অন্যান্য ক্যাডারের ক্ষেত্রে পদ শূন্য থাকতে হবে, রিক্রুটমেন্ট রুল থাকতে হবে, দুদকের ক্লিয়ারেন্স থাকতে হবে, ডিপিসির সদস্যদের সন্তুষ্টি থাকতে হবে এবং ঐ ব্যাচের এডমিন ক্যাডারের কর্মকর্তাগণ চাহিদাকৃত গ্রেড পেয়েছেন তা নিশ্চিত হতে হবে- এরকম বিভিন্ন অজুহাতে অন্যান্য ক্যাডারের পদোন্নতি ঝুলিয়ে রাখা হয় বছরের পর বছর। এমন বৈষম্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
বৈষম্য দূর করে সকল ক্যাডারের মধ্যে সমতা আনা, পদ আপগ্রেডেশন, পদোন্নতিতে সমান সুযোগ, ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের সংশোধন ও পুনর্বিন্যাসসহ বিভিন্ন ক্যাডারের সিনিয়র পদ থেকে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করারও সুপারিশ করেন তারা। এ ছাড়াও দক্ষ সিভিল সার্ভিস গড়ে তোলার লক্ষ্যে বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও উচ্চতর শিক্ষাবৃত্তির ক্ষেত্রে সমতা আনা, গাড়ির ঋণ সুবিধার বৈষম্য দূর করার দাবি তুলে ধরা হয়।
পরিশেষে, কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজনে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ কর্তৃক শান্তিপূর্ণ এই আন্দোলনে উত্থাপিত দাবিসমূহ বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার কথা জানান তারা।
আরটিভি/এএএ
মন্তব্য করুন