প্রতিশোধ নিতে শ্বাসরোধে হত্যা, আসামি গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গায় আলোচিত খালেদা আক্তার মুন্নি (১৮) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন ও মামলার মূল আসামিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মুন্নির সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে অভিযুক্তরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত মানিক আলী মুন্সি চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি শেখপাড়ার টোকন আলী মুন্সির ছেলে ও পারভেজ মহাসিন স্বপন একই এলাকার মইদুল ইসলামের ছেলে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা।
তিনি জানান, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা ভাংবাড়ীয়া গ্রামের খোয়াজ আলী শেখ এর কন্যা খালেদা আক্তার মুন্নি গত ৯ নভেম্বর দুপুরে কেনাকাটার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। এরপর গত ১৪ নভেম্বর সকালে অজ্ঞাতনামা মহিলার অর্ধগলিত বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ট্যাটু দেখে মরদেহটি শনাক্ত করে তার পরিবার। এ ঘটনায় মুন্নির মা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশের একাধিক টিম ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন এবং ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত আসামিকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে মাঠে নামে। অবশেষে শুক্রবার দিবাগত রাত ২টায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত আসামিদ্বয়কে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে মানিক আলী মুন্সি জানায়, গত ৬ নভেম্বর আসামি ও তার বন্ধুরা বড়গাংনীতে ভিকটিমের সঙ্গে টাকার বিনিময়ে অনৈতিক সম্পর্ক করার জন্য নিয়ে আসলে মুন্নি স্থানীয়দের সহযোগিতায় ব্লাকমেইল করে ২০ হাজার টাকা আদায় করে। এ ঘটনায় মানিক মুন্সি রাগের বশবর্তী হয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে। এরপর ৯ নভেম্বর বিকেলে ফোনকলের মাধ্যমে মানিক মুন্সির সঙ্গে ভিকটিম সারারাত ২০ হাজার টাকার বিনিময় অনৈতিক কাজ করতে সম্মত হয়।
একই দিন সন্ধ্যা ৭টায় মুন্নি সদর উপজেলার বোয়ালমারি নীলমনিগঞ্জ পিটিআই মোড়ে পৌঁছালে মানিক মুন্সি তার সহযোগী পারভেজ মুন্সি স্বপনকে মোটরসাইকেল এ নিয়ে আসতে বলে। তারা দুজন বোয়ালমারি শ্মশান এলাকায় পানবরজের পিছনে জঙ্গলে মুন্নির সাথে পালাক্রমে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। এরপর পারভেজ ঘটনাস্থল থেকে চলে গেলে মানিক মুন্নিকে ৫ হাজার টাকা নিতে অসম্মতি প্রকাশ করে চিৎকার করতে থাকে। এরপর তাকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ওড়না দিয়ে হাত বেঁধে জঙ্গলের ফেলে রেখে চলে যায়।
আরটিভি/এএএ-টি
মন্তব্য করুন