• ঢাকা শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

শিশু মুনতাহা হত্যা, আদালত থেকে যা জানা গেল

আরটিভি নিউজ

  ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:৩৯
ফাইল ছবি

আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন (৬) হত্যা মামলার প্রধান আসামি শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫)।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) চার আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। পরে চার আসামিকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালত কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

জানা গেছে, মুনতাহা হত্যা মামলার চার আসামি কানাইঘাট থানার বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার স্ত্রী আলিফজান (৫৫), তাদের মেয়ে শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫) এবং একই এলাকার ইসলাম উদ্দিন (৪০) ও নাজমা বেগম (৩৫)-কে পুলিশ ১১ নভেম্বর আদালতে প্রেরণ করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে। আদালত সে সময় পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে পুলিশ আসামিদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। জিজ্ঞাসাবাদে প্রধান অভিযুক্ত মার্জিয়া নিজের দোষ স্বীকার করে এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিবে বলে পুলিশকে জানায়। তাই রিমান্ডের পাঁচদিন শেষে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চার আসামিকে আদালতে তোলা হয়। কিন্তু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি মার্জিয়া।

সিলেট জেলা জজ আদালতের ইন্সপেক্টর মো. জমসেদ আহমদ এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রয়োজন মনে করলে পুলিশ আবার তাদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করবে।

গত ৩ নভেম্বর সকালে মুনতাহাকে নিয়ে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরেন তার বাবা। পরে শিশুটি প্রতিদিনের মতো আশপাশের বাড়িতে শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায়। বিকেল ৩টার পরও বাড়ি না ফেরায় পরিবার থেকে মুনতাহাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তারপর তাকে আর কোথাও পাওয়া যায়নি। ঘটনার দিনই মুনতাহাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বাড়ির পাশের ডোবায় পুতে রাখেন খুনিরা। সন্দেহ থেকে শনিবার স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে গৃহশিক্ষক মার্জিয়ার আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়।

পরে রাতে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ মুনতাহার স্বজনদের বলেন মার্জিয়ার বাড়ির আশপাশে মাটি খোঁড়া আছে কি না, খোঁজ নিতে। স্থানীয়রা রোববার রাতভর তার বাড়ির আশেপাশে কোথাও মাটিখোঁড়া কোনো জায়গা আছে কি না, খুঁজতে থাকেন। ফজরের আজানের আগমুহূর্তে মার্জিয়ার মা আলিফজান বিবিকে হঠাৎ অন্ধাকারের মধ্যে রাস্তা পার হতে দেখে আটকানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্ঠা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করেন। পরে কাদামাটি মাখা মুনতাহার মরদেহ দেখতে পান। এরপর শিশু মুনতাহার গৃহশিক্ষিকা শামীমা বেগম মার্জিয়া, শিক্ষিকার মা ও তার নানি কুতুবজান বিবিকে আটক করে পুলিশ।

আরটিভি/এসএপি-টি

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
হত্যার পর ফ্রিজে নারীর মরদেহ: জামিন পেলেন না ছেলে সাদ
সিলেট মহানগর যুবলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার 
ব্যবসায়ীকে ৭ টুকরো, জবানবন্দিতে যা জানালেন প্রেমিকা
সাবেক এমপি গোলাম কিবরিয়া কারাগারে