• ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
logo

টাঙ্গাইলে নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৫
ছবি : আরটিভি

টাঙ্গাইলে নানা আয়োজনে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে টাঙ্গাইলে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ভাসানী ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।

রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলাউদ্দিন সন্তোষে মওলানা ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর পর ভাসানীর পরিবারের পক্ষ থেকে মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া করা হয়। অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কোরআন তেলাওয়াত, গরিব-দুঃখীদের মধ্যে খাবার বিতরণ ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী।

সাম্রাজ্যবাদ, সামন্তবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা ভাসানী ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম শরাফত আলী খান।

১৯০৭ থেকে ১৯০৯ সাল পর্যন্ত ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসায় লেখাপড়া করেন ভাসানী। ওই সময়ে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে অনুপ্রাণিত হন তিনি। বিশেষ করে শায়খুল হিন্দ মাহমুদুল হাসান এবং অন্যান্য প্রগতিশীল ইসলামী চিন্তাবাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ব্রিটিশবিরোধী তৎপরতায় যুক্ত হন তিনি।

১৯০৯ সালে টাঙ্গাইলের কাগমারীতে একটি স্কুলে যোগ দেন ভাসানী। ১৯১৪ সালে তৎকালীন পূর্ববঙ্গের নেত্রকোণা ও শেরপুরে খ্রিস্টান মিশনারিদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করেন তিনি।

১৯১৭ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের নেতৃত্বে রাজনীতি শুরু করেন মওলানা ভাসানী। ১৯১৯ সালে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন। পরের বছর ১৯২০ সালে তাকে গ্রেপ্তার ও কারাবন্দী করা হয়। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর খিলাফত আন্দোলনে যোগ দেন ভাসানী।

১৯২১ সালে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন ভাসানী। ওই সময়ে কিছুদিন কারাবন্দী ছিলেন তিনি। ১৯৩০ সালে মুসলিম লীগে যোগ দেন এই জননেতা।

১৯৩৭ সালে আসাম বিধানসভায় বিধায়ক নির্বাচিত হন ভাসানী। ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিধায়ক ছিলেন। এর দুই বছর আগে ১৯৪৪ সালে মুসলিম লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগ হওয়ার পর ১৯৪৯ সালের ২৩ জুলাই পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা করেন ভাসানী। তিনি সভাপতি এবং শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৫২ সালের ৩১ জানুয়ারি ঢাকা বার লাইব্রেরিতে ‘সর্বদলীয় ভাষা সংগ্রাম কমিটি’ গঠন করেন ভাসানী। ১৯৫৩ সালের ২১-২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে আওয়ামী মুসলিম লীগের নাম পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগ করেন।

১৯৫৬ সালে দুর্ভিক্ষপীড়িতদের খাদ্য সরবরাহের দাবিতে অনশন শুরু করেন ভাসানী।

১৯৫৭ সালের ২৫ জুলাই পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গঠন করেন ভাসানী।

১৯৬৮ সালের ১২ অক্টোবর টাঙ্গাইলের মির্জাপুর হাসপাতাল থেকে জেনারেল আইয়ুব খানের সরকার ভাসানীকে গ্রেপ্তার করে। পরের বছর ১৯৬৯ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ভাসানী। ওই মামলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্য রাজবন্দীদের মুক্তিদের দাবিতে তার ওই আন্দোলন ব্যাপক সাড়া ফেলে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকায় মৃত্যু হয় মহান এ নেতার। তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। তাকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে সমাহিত করা হয়।

আরটিভি/এএএ

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৩ জনের
বাবা-ছেলেসহ একদিনেই সড়কে ঝরল ২০ প্রাণ
টাঙ্গাইলে বাবা-ছেলেসহ সড়কে প্রাণ গেল ৪ জনের
টাঙ্গাইলে বাসের চাপায় সিএনজিচালকসহ নিহত ২