ময়মনসিংহে পরকীয়া প্রেমিক-প্রেমিকার মৃত্যুদণ্ড
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে পরকীয়ার জেরে স্বামী হজরত আলীকে হত্যার দায়ে স্ত্রী সাবিনা খাতুন (২৮) ও প্রেমিক লিয়াকত আলীকে (৩৬) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়।
রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (পঞ্চম) আদালতের বিচারক আলী মনসুর এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার গোরকপুর গ্রামের বাসিন্দা আমান উল্লাহর ছেলে লিয়াকত আলী এবং একই গ্রামের মৃত হজরত আলীর স্ত্রী সাবিনা খাতুন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রেজাউল করিম রাজীব এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, হজরত আলী সাবিনা খাতুনকে নিয়ে ঘর সংসার করাকালে লিয়াকত আলীর সঙ্গে সাবিনা খাতুন অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনার প্রায় একমাস আগে হজরত আলী তার ঘরে সাবিনা খাতুন ও লিয়াকত আলীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে দুজনকেই গালমন্দ করে। অনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার পথে লিয়াকত ও সাবিনা খাতুনের স্বামী হজরত আলীকে বাধা মনে করে। তারা হজরত আলীকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা করে।
২০২১ সালের ২৯ আগস্ট হজরত আলী হালুয়াঘাট থেকে শেরপুরের নালিতাবাড়ি যাওয়ার পথে সাবিনা খাতুন মোবাইলে হজরত আলীর অবস্থান জেনে নেয়। পরে লিয়াকত আলী কৌশলে হজরত আলীকে হালুয়াঘাট পশ্চিম কুতিকুড়া আঁতলা বিলের সামনে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে লিয়াকত আলী হজরত আলীর গলায় থাকা গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। লিয়াকত আলী হত্যার বিষয়টি মোবাইলে সাবিনা খাতুনকে জানায়। পরে দুজনে মিলে লিয়াকত আলী আবাদি জমিতে হজযরত আলীর মরদেহ পুঁতে রাখে।
এরপর আসামিদের নাম উল্লেখ করে নিহত হজরত আলীর ভাই আবু নাছের বাদি হয়ে ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর হালুয়াঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিজ্ঞ আদালদত আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন। এতে বাদী পক্ষ ন্যায় বিচার পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আরটিভি/এমকে-টি
মন্তব্য করুন