চাঁদপুরে ৪০০ নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
‘সুস্থ দেহ সুস্থ মন, হাঁটবো আমি যতক্ষণ’ এই স্লোগানে চাঁদপুরে এই প্রথম ৪০০ নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে হাঁটা ম্যারাথন (ওয়াকথন) প্রতিযোগিতা চলেন হাটি।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এর আগে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন ও পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আবদুর রকিব।
প্রতিযোগিতায় বয়স ভিত্তিক অংশগ্রহণকারী নারী ও পুরুষের ৪টি দল অংশগ্রহণ করেন। ১৫-৪৫ এবং ৪৬ থেকে ৭৫ বছর বয়সী পুরুষের দুটি দল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শহরের বিভিন্ন সড়কে ৬ কিলোমিটার হাঁটেন। একই বয়সী নারীদের দুটি দল শহরের ৩ কিলোমিটার সড়ক হেঁটে কলেজ ক্যাম্পাসে এসে শেষ করেন।
হাঁটা শেষে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সদস্যসহ অন্যান্যদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রধান করেন চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের চিকিৎসকরা। এ সময় বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়।
চাঁদপুর কলেজ ক্যাম্পাসেই আয়োজিত চলেন হাটি প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
তিনি বলেন, সুস্থ থাকার জন্য হাঁটা যেমন প্রয়োজন। তেমনি মনকে ভাল রাখার জন্য ভাল পরিবেশে আসতে হবে। নানা কাজ শেষে সকালে যখন হাঁটবেন এবং সবার সঙ্গে দেখা হবে, তখন নিজের নানা বিষয়ে কথা হলে মন হালকা হবে এবং ধীরে ধীরে মন সুস্থ হতে থাকবে। হাঁটার জন্য যখন সকলে একত্রিত হবেন তখন নিজেদের মধ্যে একটি সামাজিক বন্ধন তৈরি হবে। এটিও আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও উদ্যোক্তা আলম পলাশের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আবদুর রকিব, চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত ও চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ কে এম মাহবুবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ৪টি দলের ৩ জন করে ১২ জন বিজয়ীকে সনদ, মেডেল ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষকতা করেন ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক এন এম খান মুরাদ।
আরটিভি/এএএ
মন্তব্য করুন