টঙ্গীতে রাতভর যৌথ বাহিনীর অভিযান, গ্রেপ্তার ২
গাজীপুরের টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকায় অ্যাপার্টমেন্টের মাটি ফেলাকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা টিভি আনোয়ার ও যুবদল নেতা কামরুল ইসলাম কামু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় এ ঘটনায় যৌথ বাহিনী এরশাদ নগর এলাকা ঘিরে ফেলে অভিযান চালায়। অভিযানে এজাহারভুক্ত ছয়জনের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী।
জানা গেছে, এরশাদনগর ১ নম্বর ব্লগ ট্যাগবাড়ি এলাকায় অ্যাপার্টমেন্টের মাটি ফেলানোকে কেন্দ্র করে আনোয়ার গ্রুপ ও কামরুল ইসলাম কামু গ্রুপের ৩০ থেকে ৪০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায়। এই ঘটনায় অনেকেই আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১ নম্বর ব্লকের আব্দুল হানিফের ছেলে হৃদয়কে (২৯) আহত অবস্থায় টঙ্গী মেডিকেলে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার আহমেদ স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পুরনো বিরোধের জেরেই টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার আনোয়ার গ্রুপ ও কামরুল ইসলাম ওরফে কামু গ্রুপের দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার রাতের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কয়েক দফা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় আনোয়ার গ্রুপের সমর্থকরা কামরুল ইসলাম কামু গ্রুপের সমর্থক হৃদয়কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। এ ঘটনায় বুধবার রাতে যৌথ বাহিনী এরশাদনগর এলাকা ঘেরাও করে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টায় টঙ্গীর এরশাদনগরের চানকিরটেক এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলি, দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে লিপু, মইজুদ্দিন ও মঞ্জুর নেতৃত্বে ১০-১৩ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরটিভি/এফআই-টি
মন্তব্য করুন