• ঢাকা শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১
logo

মহিপুরে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও ক্যাটল শেল্টার উদ্বোধন

কুয়াকাটা প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:২৪
ছবি: আরটিভি

পটুয়াখালীর মহিপুরে বহুমুখী আধুনিক সুবিধা সম্বলিত একটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও ক্যাটল শেল্টার উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে মহিপুর সদর ইউনিয়নের কমরপুর গ্রামে দাতা সংস্থা জাপান মোফার অর্থায়নে ও গুড নেইবারস জাপান-এর সার্বিক সহযোগিতায় গুড নেইবারস বাংলাদেশ ডিআরআর প্রজেক্টের নির্মিত এ আশ্রয়কেন্দ্রটি উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গুড নেইবারস বাংলাদেশ-এর হেড অব ইকোনোমি ইউনিট প্রধান রেমন্ড কুইয়ার সভাপতিত্বে ডিআরআর প্রজেক্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার জেমস রাজীব বিশ্বাস ও প্রোগ্রাম অফিসার আফিয়া ফেরদৌস খানের যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. ফজলু গাজী, গুড নেইবারস বাংলাদেশ-এর দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের এরিয়া প্রধান যোসেফ ডায়েস, ডিআরআর প্রজেক্টের এশিয়া সেকশন ম্যানেজার ইউকি ইউশিমুরা, কো-অর্ডিনেটর দীপক কুমার দাস, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী-সিপিপি’র সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান খান, মহিপুর থানা বিএনপির সভাপতি আব্দুল জলিল হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহজাহান পারভেজ ও জমিদাতা মো. সিদ্দিকুর হাওলাদার।

গুড নেইবারস-এর কর্মকর্তা ও দাতা সংস্থার প্রতিনিধিরা জানান, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত অত্যাধুনিক এ আশ্রয়কেন্দ্রটি নির্মাণে ৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ৮ হাজার ৬০০ বর্গফুটের এ শেল্টারটিতে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ, নিরাপদ স্যানিটেশন, বিশুদ্ধ পানি ও ১৪টি রুমে থাকার সুযোগ পাবে ৭ শতাধিক মানুষ। নারী, পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য আলাদা আলাদা ইউনিট রয়েছে। এছাড়া গবাদি পশু-পাখি রাখার জন্য আরেকটি আলাদা ইউনিট করা হয়েছে। শেল্টারটি সারাবছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এলাকার বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে অত্র এলাকার জনগণকে দুর্যোগ সম্পর্কে সচেতনতার লক্ষ্যে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি বিষয়ক মাঠ মহড়ার আয়োজন করা হয়। পরে গুড নেইবারস-এর কর্মকর্তারা শেল্টারের চাবি ও দলিল হস্তান্তর করেন।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এই আশ্রয় কেন্দ্রটি শুধুমাত্র দুর্যোগের সময়েই নয় কমিউনিটি সেন্টার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। অন্যান্য বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও এমন দৃষ্টান্ত স্থাপনে উদ্বুদ্ধ করা হবে।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে প্রকল্পটি হাতে নেয় গুড নেইবারস বাংলাদেশ। মোফা জাপানের অর্থায়নে ২০২৩ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এটি নির্মাণে খরচ হয় প্রায় চার কোটি টাকা। দুর্যোগের সময় ৭০০ মানুষ ও ২০০ গবাদিপশু এখানে আশ্রয় নিতে পারবে।

আরটিভি/এএএ

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চোখ হারানো সাইদুল পেলেন জীবিকার সহায়তা
মহিপুরে ইয়াবাসহ ৩ মাদককারবারী গ্রেপ্তার 
এক কোরালের দাম ২০ হাজার টাকা
দেখা মিলল বিলুপ্তপ্রায় উড়ন্ত লাউডগা সাপের