শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষ, বাস চলাচল বন্ধ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে বাস শ্রমিক কর্তৃক মারধরের ঘটনায় সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে শিক্ষার্থী ও বাস শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কয়েকটি বাস ও পরিবহন কাউন্টার ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পরিবহন শ্রমিক নেতারা প্রায় ৪ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এদিকে সংঘর্ষের ছবি তুলতে গিয়ে যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সন আমির সোহেল ও দৈনিক প্রথম আলোর ফটো সাংবাদিক সাদ্দাম হোসেন মারধরের শিকার হন।
জানা যায়, গোপালগঞ্জ থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী একটি পরিবহনে খুলনায় আসছিল। এসময় বাসের হেলপারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। ওই শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করে বাসের হেলপাররা। এ ঘটনা শুনে পরবর্তীতে সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য ছাত্র ও শিক্ষকরা এলে বাস শ্রমিকরা ছাত্রদের মারধর করে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এসে সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নেয়। এসময় বাস শ্রমিক ও ছাত্রদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। কয়েকটি বাস ও কাউন্টার ভাঙচুর করা হয়। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, অবিলম্বে ছাত্রদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শনকারীদের অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার, রাজীব পরিবহন বন্ধ ঘোষণা এবং বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার মধ্যে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ছাত্ররা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. নাজমুস সাদাত জানান, পরিবহন শ্রমিকদের হামলায় তাদের ১০/১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এদিকে বাস টার্মিনালে এখনও সেনাবাহিনী ও নৌ-বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন।
খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহিদ খান জানান, তাদের কোনো দাবি-দাওয়া নেই। তারা শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের চেষ্টা করবেন।
আরটিভি/একে
মন্তব্য করুন