কীর্তনখোলায় স্পিডবোটডুবি, নিখোঁজ ৩ জনের সন্ধান এখনও মেলেনি
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষে একটি যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবে যাওয়ার ঘটনায় এখনো তিনজন নিখোঁজ।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে এ তিনজনের খোঁজে নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অভিযান চালালেও তাদের সন্ধান মেলেনি। তিনজনের মধ্যে দুজন যাত্রী এবং অন্যজন স্পিডবোটটির চালক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার।
তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা অভিযান চালিয়েও ওই ৩ জনের সন্ধান পাইনি। এ জন্য অনেকটা আশা ছেড়ে দিয়েছি।’
জানা যায়, নিখোঁজ তিন ব্যক্তি হলেন- বরিশাল নগরের বিমান বন্দর থানা এলাকার রহমতপুর এলাকার দুলাল দাসের ছেলে সজল দাস (৩০), পটুয়াখালীর কলাপড়া উপজেলার বাছুমখালী গ্রামের রাসেল আমিন (২৫) ও স্পিডবোটচালক আল আমিন (২২)। তাদের মধ্যে সজল দাস ভোলায় ব্র্যাকের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে চাকরি করতেন বলে তাঁর বন্ধু তানভীর আহমেদ প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তবে রাসেল আমিনের বিস্তারিত পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জনতার হাট খেয়াঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে স্পিডবোটের এক যাত্রী মারা যান এবং এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় স্পিডবোটের চালক ও কয়েকজন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছিল নৌ পুলিশ। তবে নিখোঁজদের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল না।
মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম জালিস মাহমুদ (৫০)। তিনি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার বাসিন্দা। তিনি স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানিতে ভোলার বিক্রয় প্রতিনিধি (এসআর) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার সহকর্মী মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জনতার হাট এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমি বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে নদীর মধ্যে বিকট শব্দ শুনে তাকিয়ে একটি বাল্কহেডকে যেতে দেখেন। কিছু সময় পর দেখেন, কয়েকজন লাইফ জ্যাকেট পরা অবস্থায় সাঁতরে কিনারে আসার চেষ্টা করছেন। পরে স্থানীয় লোকজন ট্রলার নিয়ে ছয়জনকে উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসেন। এ ছাড়া লাহারহাট থেকে বরিশালের উদ্দেশে যাওয়া একটি স্পিডবোটে আরও ২ যাত্রীকে উদ্ধার করে বরিশালে নেওয়া হয়।’
ফায়ার সার্ভিসের বরিশাল কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘নদীর উপরি অংশে অনুসন্ধানের পর আমাদের ডুবুরিরা তলদেশে অনুসন্ধান চালিয়েছেন। কিন্তু নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান মেলেনি। তবে আমরা এখনও অভিযান শেষ করিনি।’
আরটিভি/এমকে/এআর
মন্তব্য করুন