মোবারকগঞ্জ চিনিকলে লোকসান ৭০ কোটি টাকা
মোবারকগঞ্জ চিনিকলে প্রতি কেজি চিনি উৎপাদন খরচ পড়েছে ৫৪২ টাকা, বিক্রয় মূল্য ১২৫ টাকা। হিসাব শেষে গত ২০২৩-২৪ মৌসুমে লোকসান ৭০ কোটি।
দুর্নীতি, কর্তব্য অবহেলা, অদক্ষতা, যান্ত্রিক ক্রটি, অতিরিক্ত জনবল, কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বাৎসরিক বেতন-ভাতা, আখের ক্রয় মূল্য, পরিবহন খরচ, কারখানার যাত্রাংশের মূল্য, চিনি উৎপাদনের সংশ্লিষ্ট উপাদনের মূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি, আখ ও চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থতার কারণে দক্ষিণবঙ্গের সর্ববৃহৎ কৃষি শিল্প মোবারকগঞ্জ চিনিকলটি গত ২০২৩-২৪ মাড়াই মৌসুমে চিনি উৎপাদন অর্থাৎ আহরণ হার সর্বকালের সব রেকর্ড পরিমাণ কম হয়েছে, যার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৫০০ টন।
কিন্তু অর্জন হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৮৭১ টন। সব মিলিয়ে উৎপাদন উদপাদন খরচ পড়েছে প্রতি কেজি ৫৪২ টাকা। বিক্রিত মূল্য ১২৫ টাকা হিসাবে প্রতি কেজিতে লোকসান ৪১৭ টাকা।
সকল খরচাদি হিসাব শেষে ২০২৩-২৪ মাড়াই মৌসুমে লোকসানের পরিমান ৭০ কোটি টাকা বলে মিল সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে মোবারকগঞ্জ চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক কৃষি গৌতম বাবু বলেন, আখচাষযোগ্য উঁচু জমিতে বর্তমানে কলা, ড্রাগন, পেয়ারা, কুলসহ বিভিন্ন ফল, ফুল ও অন্যান্য ফসলের চাষ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আখ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, নিচু জমিতে উৎপাদিত আখে চিনির উৎপাদন হার কম হয়। তাছাড়া মাড়াই মৌসুম শুরুতে আগ মুহূর্তে এক শ্রেণির চাষীরা আখের ওজন বৃদ্ধি করার জন্য জমিতে সেচ, ইউরিয়া ও সালফার সার প্রয়োগ করার কারণে চিনি উৎপাদন হারের লক্ষ্যমাত্রা হ্রাস পাচ্ছে।
আরটিভি/এমকে-টি
মন্তব্য করুন