ঢাকামঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২

মারধরের পর স্কুলছাত্রকে জীবন্ত কবর দিয়ে হত্যাচেষ্টা

আরটিভি নিউজ

সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১০:৪২ পিএম


loading/img
ছবি : সংগৃহীত

ফরিদপুরে জিহাদ নামে এক স্কুলছাত্রকে রাতের আঁধারে ধরে নিয়ে মারপিটের পর মাটি খুঁড়ে জীবন্ত কবর দিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) শহরের আলীপুরে একটি সংবাদপত্র কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ওই ছাত্রের পরিবার।

ভুক্তভোগী জিহাদ ফরিদপুর সদরের বড় মাধবপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মোস্তাক মাতুব্বরের ছেলে। সে কানাইপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে জিহাদের বাবা বলেন, জিহাদ ওয়াজ শুনতে গেলে এলাকার একদল বখাটে যুবক তাকে ধরে মারধর করে। পরে একটি কবরস্থানে নিয়ে কবর খুঁড়ে জ্যান্ত পুঁতে হত্যাচেষ্টা করে। এ সময় তারা পাঁচলাখ টাকাও নিয়ে আসতে বলে।

এ ঘটনার পরে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একদল তরুণ জিহাদকে মারতে মারতে কলার ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে একটি কবরস্থানে। সেখানে একজনকে কোদাল দিয়ে গর্ত খুড়তে দেখা যায়।

এ সময় একজন জিহাদকে বলে- তোকে জবাই করমু না, জ্যান্ত পুঁতুম। কি কবি ক? জায়গা পছন্দ কর।

বিজ্ঞাপন

এরপর কেউ একজন সেখানে ফোন ধরিয়ে দেওয়ার পরে তাদের মধ্যে কথাবার্তা হয়। এর কিছুক্ষণ পর তরুণটি জিহাদকে ছেড়ে দিয়ে বলে- বাঁইচা গেলি আইজকার মতো। তারপর তাকে সজোরে কিলঘুষি মারতে থাকে তারা।

বিজ্ঞাপন

জিহাদের মা মারিয়া আকতার বলেন, বাড়িতে পৌঁছে ভয়ে তার ছেলে বমি করে দেয়। রাতেই তাকে ফরিদপুর মেডিকেলে নিয়ে যাই। প্রচণ্ড ভয়ে তার পিত্তি গলে যাওয়ার দশা। সে ট্রমায় আক্রান্ত হয়ে গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী জিহাদ বলেন, কয়েক দিন আগে তার চাচাতো ভাইদের বাড়ির পেছনে নদীর পাড়ে জড়ো হয়ে শোরগোল করতে থাকা একদল বখাটের কাছে উচুস্বরে জানতে চেয়েছিল তারা কারা। এই অপরাধে ওইদিন সন্ধ্যায় প্রথমে তাকে একদফায় মারধর করা হয়। এরপর শনিবার রাতে বাবার কাছ থেকে হালিম খাওয়ার জন্য টাকা নিয়ে ওয়াজের মাঠে যাচ্ছিল সে। তখন ওই তরুণরা তাকে দোকান থেকে সিগারেট কিনে আনতে বলে আর তারপর তার সিগারেট কেনার ভিডিও করে। তখন তার বাবাকে সিগারেট কেনার ভিডিও দেখিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে জিম্মি করে নেয়।

এ ঘটনায় জিহাদের বাবা মোস্তাক মাতুব্বর বাদী হয়ে রবিবার রাতে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সিফাত (২৪), মাসুম (২৩), মারুফ (২০), আরাফাত (২০), সজল (২২), সাকিলসহ (১৯) আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদউজ্জামান বলেন, অভিযোগটি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। রাতেই জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযানও চালিয়েছে। দ্রুতই তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

আরটিভি/একে/এস

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |