খুলনায় ৪ জামায়াত নেতা আটক
নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে খুলনার কয়রা উপজেলা জামায়াতে ইসলামির সাধারণ সম্পাদক আশাফুর রহমানসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক অন্যরা হলেন থানার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ, আব্দুল হাই সিদ্দিকী ও শ্যূরা সদস্য জামাল হোসেন।
শনিবার দুপুরে তাদের কয়রা উপজেলা আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার গোবরা গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, জামায়াত নেতারা নাশকতার পরিকল্পনা করছিল- এমন অভিযোগে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসময় বেশকিছু জিহাদি বইও উদ্ধার করা হয়।
জেবি/এমকে
মন্তব্য করুন
ফেসবুক পরিচয়ে বিয়ে, অতঃপর...
ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়, বন্ধুত্ব থেকে প্রেম এবং বিয়ে। বিয়ের আগে কথা ছিল একটা ব্যবসা শুরু ও বছরখানেক পরে ব্যবসার ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দেবেন। এ কথা বলে তরুণীর প্রবাসী বাবার কাছ থেকে নেন ৫০ লাখ টাকা। আর এই ৫০ লাখ টাকা নেওয়ার পর থেকে উধাও তিনি। পরে জোরপূর্বক ডিভোর্সও দেন।
এমন ঘটনা ঘটেছে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার খরনা নাদুরপুকুর এলাকার বাসিন্দা রিমুর সঙ্গে। আর এ ঘটনায় অভিযুক্ত তার স্বামী অ্যাপোলো ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন নামে একটি কোম্পানির মালিক মাহবুব সাঈদী।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে রিমু জানান, ২০২১ সালে কোম্পানি খুলে আমাকে ২০ শতাংশ শেয়ার মালিক করার কথা বলে আমার সিঙ্গাপুর প্রবাসী বাবার কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা নেন। এ সংক্রান্ত চুক্তিপত্রও সম্পাদন হয় আমাদের মধ্যে। পরের বছর বিয়েও করে সে। কোম্পানি কিছুদিন পরিচালনার পর আমি তার বিভিন্ন অর্থনৈতিক জালিয়াতি ধরে ফেলি এবং এ নিয়ে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।
তিনি বলেন, একপর্যায়ে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হলে মাহবুব সাঈদী ২০২২ সালের এপ্রিলে জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আমি এবং আমার মাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে জোর করে আমাকে ডিভোর্সও দেয়।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ব্যবসার জন্য দেওয়া টাকা কিংবা লভ্যাংশ ফেরত দেয়নি। অপহরণ এবং দেনমোহর না দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলেও গত দুই বছর সে এবং তার সন্ত্রাসীদের হুমকি-ধমকির কারণে তিনি ন্যায়বিচার পাননি।
আরটিভি/এএএ/এসএ
জাতীয় পতাকার ওপর ইসকনের পতাকা উত্তোলন, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
চট্টগ্রামে জাতীয় পতাকার ওপর গেরুয়া পতাকা উত্তোলন কাণ্ডে ইসকন নেতাসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে। এরই মধ্যে দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও এলাকার উত্তর মোহরার মো. ফিরোজ খান (৪৯) কোতোয়ালি থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- ইসকন চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক চন্দন কুমার ধর প্রকাশ, চিম্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী, অজয় দত্ত (৩৪), লীলা রাজ দাস ব্রহ্মচারী (৪৮), গোপাল দাশ টিপু (৩৮), ডা. কথক দাশ (৪০), প্রকৌশলী অমিত ধর (৩৮), রনি দাশ (৩৮), রাজীব দাশ (৩২), কৃষ্ণ কুমার দত্ত (৫২), জিকু চৌধুরী (৪০), নিউটন দে ববি (৩৮), তুষার চক্রবর্তী রাজীব (২৮), মিথুন দে (৩৫), রুপন ধর (৩৫), রিমন দত্ত (২৮), সুকান্ত দাশ (২৮), বিশ্বজিৎ গুপ্ত (৪২), রাজেশ চৌধুরী (২৮) ও হৃদয় দাস (২৫)।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গত ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ নগরের লালদিঘী মাঠে মহাসমাবেশ আয়োজন করে। সেদিন ইসকন চট্টগ্রাম বিভাগের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর নির্দেশে নিউমার্কেট মোড়ে স্বাধীনতা স্তম্ভে জাতীয় পতাকার ওপর গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করে জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করা হয়েছে। এরপর গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সংঘঠিত হওয়ার পর নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্টে স্তম্ভের ওপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে যা অদ্যবধি সেখানে রয়েছে। ওই মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার লোকের সমাবেশ ঘটে।
বাদির অভিযোগ, আসামিরা নিউমার্কেট মোড় জিরোপয়েন্ট স্তম্ভ ও আশপাশে সু-পরিকল্পিতভাবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে অবজ্ঞা প্রদর্শনের হীন উদ্দেশ্যে, দেশের অখণ্ডতাকে অস্বীকার করার মানসে এবং দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্বের প্রতীক স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রতি অসম্মান প্রদর্শন পূর্বক অবমাননা করে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপর সাম্প্রদায়িক ধর্মীয় গোষ্ঠী ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করে সেখানে স্থাপন করে দেয়।
এজাহারে বাদী আরও অভিযোগ করেন, এ ঘটনা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অখণ্ডতাকে অস্বীকারের শামিল। আসামিরা তাদের সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে পরস্পর অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপর তাদের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করে দেশের ভেতর অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশকে অকার্যকর করার তথা রাষ্ট্রদ্রোহ কাজে লিপ্ত হয়েছে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে শ্রেণি বিদ্বেষের জন্ম হয়েছে এবং ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করে নাগরিকদের মধ্যে শ্রেণি বিদ্বেষ ছড়িয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা ও রাষ্ট্রদোহীতার অপরাধ করেছেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ এ বিষয়ে বলেন, ‘নগরীর নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্ট স্তম্ভে জাতীয় পতাকার ওপর ইসকনের পতাকা উত্তোলনের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে রাজেশ ও হৃদয় নামের দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
আরটিভি/এসএপি/এসএ
আবু সাঈদের ফরেনসিক প্রতিবেদন জোর করে ৬ বার পরিবর্তন করা হয়: চিকিৎসক
রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. রাজিবুল ইসলাম বলেছেন, আবু সাঈদের বুক গুলিতে ঝাঁজরা ছিল। সরকারের মনমতো প্রতিবেদন দিতে ঢাকা থেকেও তাকে হুমকি দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রংপুর মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ ডা. মাহফুজুর রহমানের অপসারণ ইস্যুতে চলমান বিক্ষোভের সময় ফরেনসিক প্রতিবেদন টেম্পারিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের ফরেনসিক প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী চিকিৎসক ডা. রাজিবুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাকে ঢাকা থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়, তুমি সরকারি চাকরি করে কীভাবে সরকারের বিপক্ষে এই রিপোর্ট দিতে পারো। চূড়ান্ত প্রতিবেদন যখন দিতে যাই, তার আগে ছয়বার প্রতিবেদন পরিবর্তন করানো হয়েছিল। সে সময় রংপুর মেডিকেলের ভাইস প্রিন্সিপাল মাহফুজার রহমান চার্জে ছিলেন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতারা ছিলেন। পুলিশ প্রশাসনের লোকও ছিলেন। তাদের সামনেই আমাকে বাধ্য হয়ে প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করতে হয়েছিল।
ডা. রাজিবুল ইসলাম বলেন, ওনারা (ডা. মাহফুজসহ উপস্থিত অন্যরা) চেয়েছিলেন আমি যেন হেড ইনজুরি দিয়ে ইউরেজোনিক শক দেখিয়ে দেই। কিন্তু আমি তাদের চাপের কাছে মাথানত করিনি। আমার রিপোর্টে উল্লেখ ছিল, দ্য ডেড ওয়াজ ডিউ টু অ্যাভোব মেনশন ইনজুরিস হুইচ ওয়াজ এন্টিমন্টেম অ্যান্ড হোমিসাইডাল।
তিনি বলেন, সবাই ভাবছে হেড ইনজুরির (মাথার আঘাত) কারণে আবু সাঈদ মারা গেছে। হেড ইনজুরি হলে সাধারণত ব্রেনে রক্তক্ষরণ থাকে। স্ক্যামবোল ফ্রাকচার থাকে। সাঈদের ক্ষেত্রে এগুলো কোনটাই ছিল না। আমি প্রচণ্ড চাপে ছিলাম। আমাকে নানাভাবে ভয় দেখানো হয়েছে।
আরটিভি/এমএ
সুপারি রাখার গর্তে নেমে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে একটি গর্ত থেকে সুপারি তুলতে গিয়ে ২ ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের ধারণা, গর্তে নেমে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়েছে তাদের। একই ঘটনা আরও ৪ জন অসুস্থ হয়েছেন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী গুন্নুমিয়া সওদাগরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন।
নিহত ২ ভাই হলেন- শফি সওদাগর ও শহিদুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানান, শফি সওদাগর সুপারির ব্যবসা করতেন। আর শহিদুল আরব আমিরাত প্রবাসী। আগামী সপ্তাহে প্রবাসে চলে যাওয়ার কথা ছিল। সুপারি তুলতে গর্তে নেমে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।
ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমাদের টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে একজন মহিলা ও ৫ জন পুরুষকে উদ্ধার করে দ্রুত মেডিকেলে প্রেরণ করেছে। ৭ থেকে ৮ ফুট গভীর একটি গর্তে সুপারি রাখা হয়েছিল। সে সুপারি তুলতে গিয়েই মূলত এ ঘটনা ঘটেছে। গর্তটিতে সুপারির গন্ধে অতিরিক্ত মিথেন গ্যাস তৈরি হয়। ফলে অক্সিজেনের অভাবে কেউ কেউ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে আর কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে।’
আরটিভি/এমকে/এআর
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে দুই তরুণীর অনশন
ঝিনাইদহের হলিধানী ইউনিয়নে শাহীন নামে এক যুবকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে একসঙ্গে দুই তরুণী অনশন করেছেন।
শনিবার (২ নভেম্বর) রাত ৭টায় সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের গাগান্না গ্রামের ইকরামুলের ছেলে শাহীনের বাড়িতে ওই দুই তরুণী অনশন করেন।
জানা যায়, শনিবার বিকেল থেকে রুনা নামে এক কলেজ পড়ুয়া মেয়ে বিয়ের দাবিতে শাহীনের বাড়িতে অবস্থান নেন। রুনার দাবি শাহীন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ দুই বছর ধরে তার সঙ্গে প্রেম করে আসছেন। তাদের দুই পরিবার এই বিয়েতে রাজি ছিল। কিন্তু শাহীন ধর্ষণ মামলায় আসামি হওয়ায় পরে তার পরিবার এই বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর রুনাকে পরিবার থেকে তার অমতে বিয়ে দিতে গেলে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে শাহীনের বাড়িতে ওঠেন।
অন্যদিকে গত দুই মাস হলো সাদিয়া নামে আরেক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন শাহীন। প্রেমিকের বিয়ের কথা শোনার পর সাদিয়াও বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে আসেন। এমন ঘটনায় শাহীন ও তার পরিবারের ওপর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর দাবি শাহীন দীর্ঘদিন ধরে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত। এর আগেও এক সনাতন ধর্মাবলম্বী মেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণসহ একাধিক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন তিনি। তারা এর একটা সমাধান চান।
বিয়ের দাবিতে অনশন করা রুনা বলেন, শাহিনের সঙ্গে আমার দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক। আমাদের বিয়েতে দুই পরিবারই রাজি ছিল। কিন্তু শাহীন ধর্ষণ মামলায় আসামি হওয়ায় আমার পরিবার আর মেনে নেয়নি। শুক্রবার আমার বিয়ের জন্য পরিবার থেকে চাপ দেয়। আমি শাহিনকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করবো না। এ কারণে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। তাই আমি শাহিনের বাড়িতে এসেছি। আমি ওকেই বিয়ে করবো। শহিন যদি ওই মেয়েকে বিয়ে করে, তাও আমার কোনো সমস্যা নেই।
সাদিয়া খাতুন বলেন, শাহিনের সঙ্গে দুই মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক। এর আগে শাহিন আমাকে বিয়ের জন্য তার বাড়িতে আসতে বলে। আমি বাড়ি থেকে তার বাড়িতে আসি। তখন শাহিনের বাড়ির লোকজন ঝামেলা করায় সেদিন বিয়ে হয়নি। আজ আবার শাহিনের বাড়িতে আরেক মেয়ে বিয়ের দাবিতে এসেছে। আমি তো ওকে ভালোবাসি। শাহিন আমাকে বিয়ে করবে বলে কথা দিয়েছে। আমাকে রেখে এখন আবার অন্য মেয়েকে বিয়ে করতে চায়। তাই আমি আমার অধিকার আদায়ের জন্য শাহিনের বাড়িতে এসেছি।
এ বিষয়ে শাহিন জানান, তাকে বিয়ে করতে যে দুই মেয়ে আসছে, তাদের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল, এখন নেই। তবে তারা যেহেতু তাকে বিয়ে করতে বাড়িতে চলে আসছে, তাদের দুই জনকে বিয়ে করতে কোন আপত্তি নেই। সে দুইজনকেই বিবাহ করতে রাজি।
হলিধানী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সন্তোষ কুমার গণমাধ্যমকে বলেন, গাগান্না গ্রামের শাহিনের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে একই সঙ্গে দুই মেয়ে এসেছে এটা খুবই দুঃখজনক।
আরটিভি/এএএ
অনশনে বসা দুই তরুণীর একজনকে বিয়ে করলেন যুবক
ঝিনাইদহের হলিধানী ইউনিয়নে শাহীন নামে এক যুবকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে একসঙ্গে দুই তরুণী অনশন করেছেন। এর মধ্যে অনশনে বসা রুনা নামের একজনকে দুই লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করলেন শাহীন।
রোববার (৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশাটিয়া ইউনিয়নের বিবাহ রেজিস্ট্রার আজিজুর রহমান মিনুর বাড়িতে রুনা ও শাহীনের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
শাহীন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের গাগান্না গ্রামের ইকরামুল হকের ছেলে। আর রুনা হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশাটিয়া ইউনিয়নের ঘোড়াগাছা গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, গতকাল রাতে পাশের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের এক তরুণী বিয়ের দাবিতে শাহীনের বাড়িতে অবস্থান নেন। খবর পেয়ে জেলা সদরের বাসিন্দা আরেক তরুণী বিয়ের দাবিতে তাঁর বাড়িতে আসেন। এক যুবকের বাড়িতে দুই তরুণীর অবস্থানের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এলাকাবাসী আরও জানায়, প্রায় দুই বছর ধরে এক তরুণীর সঙ্গে শাহীনের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। তাঁদের দুই পরিবার বিয়েতে রাজিও ছিল। কিন্তু একপর্যায়ে মেয়ের পরিবার বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর পরিবার থেকে অন্যত্র বিয়ে দিতে গেলে ওই তরুণী পালিয়ে শাহীনের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। অন্যদিকে দুই মাস হলো আরেক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে শাহীনের। খবর পেয়ে তিনিও শাহীনের বাড়িতে যান বিয়ের দাবিতে।
শাহীনের চাচা শামছুল ইসলাম জানান, শনিবার বিকেলে এই মেয়ে আসে বিয়ের দাবিতে। পরে আরেক মেয়ে এলে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। এখন সব সমস্যার সমাধান করে প্রথমে যে মেয়েটি এসেছিল, রুনার সঙ্গে শাহীনের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শাহীন বলেন, প্রথমে রুনাকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। পরে সাদিয়া চলে আসায় সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়। পরে যখন সাদিয়া স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে চলে যায় তখন রুনাকে বিয়ে করতে আর কোনো বাধা থাকে না। তারপরও সামাজিক অনেক ঝামেলা পেরিয়ে রাত ১১টায় রুনাকে বিয়ে করি।
রুনা বলেন, আমি প্রথম থেকেই শাহীনকে ভালোবাসি। তাকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। পরে ওই মেয়ে এলে সমস্যা দেখা দেয়। ওই মেয়ে চলে যাওয়ায় আমাদের দুজনের বিয়েতে আর কোনো বাধা থাকে না। আমি শাহীনকে বিয়ে করতে পেরে আমার ভালোবাসা শতভাগ খাটি বলে মনে করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় হলিধানী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সন্তোষ কুমার বলেন, রাতেই একজনকে শাহীন বিয়ে করেছে। পরে এলাকাবাসীর মধ্যস্থতায় আরেক তরুণী বাড়ি ফিরে গেছে।
আরটিভি/একে
আপত্তিকর অবস্থায় পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রী, অতঃপর...
গাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রী তাসলিমার (২৮) সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে পরকীয়া প্রেমিক আশরাফুল বিশ্বাসকে (৩০) কুপিয়ে হত্যা করেছেন স্বামী আজিজুল হক (৩০)। এ সময় নিজের স্ত্রীকেও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেন তিনি।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে পৌরসভার বকুলতলা (চন্নাপাড়া) এলাকায় আজিজের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন জয়নাল আবেদীন মণ্ডল।
নিহত আশরাফুল বিশ্বাস ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার আসগ্রাম গ্রামের ওয়াহাবের ছেলে। তিনি স্থানীয় এস এস ফ্যাশন পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
আজিজের আহত স্ত্রী তাসলিমাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজিজ-তাসলিমা দম্পতির ৬ ও ৪ বছরের দুটি সন্তান রয়েছে।
অভিযুক্ত আজিজ ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি প্রায় এক যুগ আগে চন্নাপাড়া এলাকায় জায়গা কিনে বসতবাড়ি নির্মাণ করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছেন। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রির ঠিকাদার। ঘটনার পর থেকে আজিজুল পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, আজিজের স্ত্রী তাসলিমা বাড়ীর পাশেই এস এস ফ্যাশন পোশাক কারখানায় চাকরি করতো। ওই কারখানায় চাকরি করার সুবাদে মালিক পক্ষের আশরাফুল বিশ্বাসের সাথে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং আশরাফুল বিভিন্ন অযুহাতে তাসলিমার বাসায় আসা যাওয়া করতো। তাদের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে স্বামীর সন্দেহ হলে স্বামী আজিজ তাসলিমাকে একাধিকবার নিষেধ করে। পরে ওই কর্মকর্তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক নাই বলে স্বামীর কাছে অস্বীকার করে। সোমবার সকাল ৯ টার দিকে আজিজ কাজে যাওয়ার কথা বলে বাড়ী থেকে বের হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ বাসায় ফিরে ভেতর থেকে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলে ফেলেন। পরে তার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমিক আশরাফুল বিশ্বাসকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেন তিনি। এ সময় খাটের নিচ থেকে ধারালো দা নিয়ে প্রেমিক আশরাফুল বিশ্বাসকে এলোপাতাড়ি কুপালে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে স্ত্রীর ঘাড়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেন তিনি। চিকিৎকার শুনে স্থানীয়রা তার স্ত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, ‘পরকীয়ার সম্পর্কের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে স্বামী পরকীয়া প্রেমিক ও তার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেছেন। এত ঘটনাস্থলেই প্রেমিক আশরাফুল মারা যান। আহত তাসলিমাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
আরটিভি/এমকে
আরটিভি/এমকে-টি