দুই বছর পর আবারও কুড়িগ্রামে মিলল পাতি হাঁসের কালো ডিম
পাতি হাঁস সাধারণত সাদা ডিম দেবে। কিন্তু সে ডিম যদি হয় কালো তাহলে কৌতূহল সৃষ্টি হবেই। এই হাঁসের কালো ডিম দেওয়ার ঘটনায় দেশে প্রথম আলোচনা শুরু হয় ২০২২ সালে। সেবার দেশের দক্ষিণের জেলা ভোলার চরফ্যাশন ও উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর দুটি স্থানে পাতি হাঁসের কালো ডিমের সন্ধান মেলে। বিষয় দুটি আন্তর্জাতিক ও দেশে গণমাধ্যমে আলোচনা সৃষ্টি করে। প্রায় দুই বছর পর আবার কুড়িগ্রামে দেখা মিলেছে হাসের কালো ডিম। এ কালো ডিম নিয়ে স্থানীয় মানুষের কৌতূলের শেষ নেই। ভিড় করে আসছেন দেখতে।
এবার এই কালো ডিমের দেখা মিলেছে নাগেশ্বরীর উপজেলার কেদার ইউনিয়নের সুবলপাড় পশ্চিম বিষ্ণুপুর এলাকার মাছুম মিয়া ও শিউলি দম্পত্তি বাড়িতে। এ দম্পতি বাড়িতে ৬টি দেশি জাতের পাতি হাঁস পালন করছেন। কয়েকদিন ধরে হাঁসগুলো সাদা ডিম দিলেও গত ৯ ডিসেম্বর হাঁসের খোয়ারে একটি কালো ডিম দেখতে পায় তাদের ছেলে সিয়াম। সাপের ডিম ভেবে ভেঙে ফেলে হয় সেটি। কিন্তু পরপর আরও তিনটি কালো ডিম খুপড়িতে। ধারণা করা হচ্ছে, ছয়টি হাসের মধ্যে যেকোনো একটি হাঁস চারটি কালো ডিম দিয়েছে।
পাতি হাস কালো ডিম দেওয়ার ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই আসছে এই কালো ডিম দেখতে।
স্থানীয় জহুরুল হক, জাহাঙ্গীর আলম, মানিকসহ অনেকেই জানান, হাসের দেওয়া কালো ডিম এর আগে তারা দেখেননি তারা। হাস সাদা ডিম দেওয়ার পরিবর্তে কালো ডিম দিচ্ছে এরকম ঘটনা তাদের জানা নেই। এটিই দেখা তাদের জীবনের প্রথম ঘটনা।
তারা জানান, কালো ডিম দেখে আসলেই তারা অভিভূত।
হাসের মালিক মাছুম মিয়া জানান, প৯ ডিসেম্বর প্রথম কালো ডিমটি দেখতে পায় তার ছেলে সিয়াম। সেটা সাপের ডিম ভেবে ভেঙ্গে ফেলে দিয়েছে। পরে তিন দিনে আরো তিনটি কালো ডিম দিয়েছে হাঁস। এর মধ্যে প্রথম তিনটি কুচকুচে কালো হলেও শেষেরটা একটু হালকা কালো। এই কালো ডিম দেখে তারা অবাক হয়েছেন।
মাসুমের স্ত্রী শউলি পারভীন জানান, দীর্ঘদিন থেকে হাঁস পালন করছেন তিনি। তবে কখনও কালো ডিম দিতে দেখেননি তিনি। এবার ৬টি হাঁস রয়েছে তার। এই হাঁসগুলোর মধ্যে কোন হাসটি কালো ডিম দিয়েছে তা জানা যায়নি। সবগুলো হাঁস সুস্থ্য স্বাভাবিক রয়েছে।
নাগেশ্বরী উপজেলা প্রাণীসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ কোকিল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, সাধারণত হাঁসের সাদা ডিম দেওয়ার কথা। কালো ডিম দেওয়ার ঘটনা বিরল। জিনেটিক্যাল সমস্যার কারণে ডিমের রং কালো হতে পারে। এটি একটি অস্বাভাবিক ঘটনা। তবে খোলস কালো হলেও ডিমের পুষ্টিগুণ ঠিক থাকে।
এবার শুধু মাছুম মিয়ার বাড়িতেই নয় ডিসেম্বরের শুরুতে নাগেশ্বরী সদরের জাকির হোসেন জুয়েলের বাড়িতেও দুটি কালো ডিম দেয় একটি পাতি হাঁস। এর আগে ২০২২ অক্টোবর মাসে উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের ইব্রাহিমের বাড়িতে তিনটি কালো ডিম দেয় একটি হাঁস।
আরটিভি/এমকে
মন্তব্য করুন