ফেনীতে শ্বশুরবাড়িতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু
ফেনীতে শ্বশুরবাড়িতে সাবিনা ইয়াসমিন (৩৩) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। রোববার বিকেলে ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের চোচনা এলাকার সওদাগর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা।
গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, শাশুড়ির সঙ্গে ঝগড়া করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সাবিনা। অন্যদিকে সাবিনার মায়ের দাবি তার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত সাবিনা ইয়াসমিন শর্শদির ছোচনা এলাকার সৌদি প্রবাসী মহসিন উল্লাহ মামুনের স্ত্রী। তিনি ফুলগাজী উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের মো. আজমীরের মেয়ে।
এ বিষয়ে ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরটিভি/এমকে
মন্তব্য করুন
ঘুরতে আসা তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার যুবদল নেতা
বরিশাল নগরীতে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ইমরান আলী শোভন (৩৩) নামে এক যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ইমরান ২৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এবং বর্তমানে ওয়ার্ড যুবদলের পদপ্রত্যাশী।
বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেট্রোপলিটন কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।
এর আগে, বুধবার (২০ নভেম্বর) নগরীর রূপাতলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তিনি রুপাতলী নতুন আবাসিক এলাকার মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বন্ধুর সঙ্গে নগরীর নতুন হাউজিং এলাকায় ঘুরতে আসেন কাউনিয়া এলাকার এক তরুণী। তাদের দুজনকে রুপাতলী থেকে জিম্মি করেন যুবদল নেতা ইরমান ও তার সহযোগীরা। সেখান থেকে নিয়ে ইরমানের একটি বিশেষ কক্ষে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এ সময়ে তরুণীর বন্ধুকে আরেকটি রুমে আটকে তার মোটরসাইকেল ও মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন তারা। এ ছাড়া তাকে বেধড়ক পেটান ইরমানের চারজন সহযোগী।
পুলিশ আরও জানায়, বুধবার সকালে মুক্তিপণের টাকা ম্যানেজ করার কথা বলে বের হয়ে কোতোয়ালি থানায় গিয়ে বিস্তারিত জানালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, ইমরানের বিরুদ্ধে রুপাতলী এলাকায় ব্যাপক চাঁদাবাজি, শ্রমিক মারধর করার মতো অভিযোগ আছে। এ ছাড়া রূপাতলী এলাকার মাদক সিন্ডিকেটও তার দখলে বলেও স্থানীয়ভাবে জানা গেছে।
আরটিভি/এফআই-টি
একই সময় দুই স্বামীর সঙ্গে সংসার জান্নাতুলের, এলাকায় চাঞ্চল্য
রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস। প্রথম স্বামীর সঙ্গে সংসার করার সময়ই দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দুই স্বামীর মন জয় করেই চলছিলেন তিনি। স্বামীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুজনের কাউকেই। অবশেষে প্রায় দুবছর পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, চার বছর প্রেম করে ২০২২ সালে রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখকে গোপনে বিয়ে করেন জান্নাতুল। পরিবারের সবাই বিদেশে থাকায় বাড়িতে একাই বসবাস করতেন তিনি। জান্নাতুলের বাড়ি নিয়মিত যাতায়াত করতেন সাগর। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল। স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেওয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে প্রথম স্বামী সাগরের সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল। স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেওয়ায় সাগর তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন তারা। তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর দ্বিতীয় স্বামী ও ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। এ বিষয়ে সাগর জানতে চাইলে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।
এ বিষয়ে সাগর শেখ জানান, তার ও জান্নাতুলের বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর তাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা বিদেশ থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে সাগরের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। তাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় সাগর ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যান। কাজ থেকে এসে সাগর জানতে পারেন তার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছেন। সাগর তার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’
তিনি জানান, এখন বাধ্য হয়ে তিনি তার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছেন। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১ নম্বর আমলি আদালতে মামলা করেছেন।
এদিকে জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।
জান্নতুলের মা হাছিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট, বুঝে নাই। যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’
এ বিষয়ে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বক্কার ছিদ্দিক জানান, সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।
আরটিভি/এসএপি/এআর
আইনজীবী হত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বহিষ্কার
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। ওই শিক্ষার্থীর নাম শুভ কান্তি দাশ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. এস এম সোয়েব স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এসব তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে শুভ কান্তির ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার সালাউদ্দিন শাহরিয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গতকালের একটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানালেন এই ছাত্র (শুভ কান্তি দাশ) জড়িত ছিলেন, যে কারণে আইন বিভাগের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে বসে এই ছাত্রকে বহিষ্কার করেছে।
প্রসঙ্গত, চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন-৬ এর কাজী শরিফুল ইসলামের আদালতে তোলা হলে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন।
আরটিভি/এএএ/এস
চট্টগ্রামে দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিসের গাড়িবহর
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের গাড়িবহরের একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে গাড়িটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
লোহাগাড়া থানার দায়িত্বরত এএসআই আলিম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এই ঘটনায় একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। জিডির প্রক্রিয়া চলছে। তবে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা জানাতে পারেননি তিনি।
এদিকে ফেসবুকে ভাঙা গাড়ির ছবি আপলোড করে বিষয়টি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসুদ।
পোস্টে তিনি লেখেন, শহীদ অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ ভাইয়ের কবর জিয়ারত করে ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সার্জিস আলমের গাড়িবহরে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে ড্রাইভার ময়মনসিংহ থেকে কক্সবাজারে মালামাল খালাস করে আসার কথা বললেও মাল খালাসের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অতীতে ভারতীয় কর্তৃক বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অনেক ব্যক্তিকে হত্যা করার নজির রয়েছে।
আরটিভি/এএএ/এস
হাসনাত-সারজিসকে হত্যাচেষ্টাকারী ড্রাইভার ও হেলপার আটক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টায় অভিযুক্ত ট্রাকচালক ও হেলপারকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাতে চট্রগ্রামের লোহাগাড়া থানা পুলিশ তাদের আটক করে। তবে আটক ড্রাইভার ও হেলপারের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
লোহাগাড়া থানার দায়িত্বরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আলিম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে একটি আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে, বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের গাড়িবহরের একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে গাড়িটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেছে। এদিন দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মহানগরের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে ওই জানাজায় অংশ নেন হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম।
আরটিভি/এসএপি/এস
শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না সিলেটের যেসব এলাকায়
সিলেট নগরীর কয়েকটি এলাকায় জরুরি মেরামত কাজের জন্য শনিবার সাড়ে ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামছ-ই-আরেফিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার সকাল ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ১১ কেভি উপশহর, স্প্রিং টাওয়ার ফিডার, বোরহান উদ্দিন, মুক্তিরচক ও ধোপাদিঘীরপাড় ফিডারের আওতাধীন এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
ফিডারগুলোর আওতাধীন উপশহর ব্লক-এ, বি, সি, ডি, ই, এফ, জি, এইচ, আই, জে, এবিসি পয়েন্ট, তেররতন, সৈয়দানীবাগ, সাদারপাড়া, পুলিশ কমিশনার আফিস, মেন্দিবাগ, নোয়াগাঁও সাদিপুর, বোরহানউদ্দীন রোড, কুশিঘাট, টুলটিকর, মিরাপাড়া, শাপলাবাগ, কল্যানপুর, মীরেরচক, মুক্তিরচক, মুরাদপুর, পীরেরচক, উপশহর রোড, সোবহানীঘাট বিশ্বরোড, ডুবলি হাওর, সবজিবাজার, ফুলতলী মাদ্রাসা, হাফিজ কমপ্লেক্স, নাইওরপুল পয়েন্ট, ওসমানী শিশু পার্ক, ধোপাদিঘীরপাড় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে নির্ধারিত সময়ের আগেই বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু এবং সাময়িক এই অসুবিধার জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
আরটিভি/এএএ
আইনজীবী সাইফুল হত্যা: চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে
চট্টগ্রামে আদালত চত্বরে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যার ঘটনার ৫২ সেকেন্ডের ভিডিও পুলিশের হাতে এসেছে। এই ভিডিও থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) তদন্ত-সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছে।
পুলিশের উদ্ধার করা ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা একজন ব্যক্তি রাস্তায় পড়ে আছেন। আশপাশে ২৫-৩০ জন যুবক দাঁড়িয়ে রয়েছে। এদের মধ্যে এক যুবকের পরনে কমলা রঙের গেঞ্জি, কালো প্যান্ট এবং মাথায় ছাই রঙের হেলমেট। হেলমেটধারী যুবকটি হাতে থাকা কিরিচ দিয়ে পড়ে থাকা ব্যক্তিকে একের পর এক আঘাত করছেন। একই সঙ্গে আরও তিন-চারজন তাকে মারধর করছেন।
কর্মকর্তারা জানান, আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপান ওম দাশ, চন্দন ও রনব। সাইফুলের নিথর দেহ রাস্তায় পড়ে থাকলেও লাঠিসোঁটা দিয়ে পেটাতে থাকেন অন্যরা। ঘটনাস্থলে আরও ২৫-৩০ জন উপস্থিত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে রমিত দাস, সুমিত দাস, গগন দাস, নয়ন দাস, বিশাল দাস, আমান দাস, মনু মেথর ও রাজীব ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বেশির ভাগই পরিচ্ছন্নতাকর্মী, আর একজন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী।
এ ঘটনার পর থেকে সেবক কলোনির অধিকাংশ বাসিন্দা ঘর ছেড়ে পালিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে সেখানে কিছু মানুষকে দেখা যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনার সঙ্গে কয়েকজন জড়িত থাকলেও পুরো কলোনি বিপদে পড়েছে। তারা দাবি করেন, নিরীহ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন।
এ বিষয়ে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী তারেক আজিজ বলেন, ‘পুলিশ সর্বোচ্চ পেশাদারি ও ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। দায়িত্বে কারও গাফিলতি ছিল না।’
এর আগে, গত সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতে পাঠানোর পথে তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আটকে দেয় তার অনুসারীরা। তাদের সরিয়ে দিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণকে কারাগারে নেওয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এরই জেরে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
আরটিভি/এসএপি/এআর