শার্শা সীমান্ত থেকে পৃথক দুটি মরদেহ উদ্ধার
যশোরের শার্শা সীমান্ত থেকে সাবু হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেন নামে পৃথক দুটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার পাঁচ ভুলাট ও পুটখালী সীমান্তের ইছামতী নদীর কাছ থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে শার্শা থানা ও বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ।
নিহত সাবু হোসেন বেনাপোল পোর্ট থানাধীন দিঘিরপাড় গ্রামের মৃত আরিফ হোসেনের ছেলে ও জাহাঙ্গীর একই থানার কাগজপুর গ্রামের মৃত ইউনুচ আলী মোড়লের ছেলে।
পুলিশ জানায়, সকালে খুলনা ব্যাটালিয়ন ২১ বিজিবির পাঁচ ভুলাট বিওপি দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মেইন পিলার ১৭/৭এস-এর ১০২আর পিলার থেকে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সীমান্ত শূন্যলাইন থেকে ৩০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ইছামতি নদীর পাড়ে ভান্ডারীর মোড় নামক স্থানে একটি মরদেহ উলঙ্গ অবস্থায় বাংলাদেশের সীমান্তে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে শার্শা থানার এসআই আওয়াল হোসেন ও এসআই কামরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ উপস্থিত হয়ে বিজিবির উপস্থিতিতে মরদেহ নদী তীর থেকে উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতালে মরদেহটি প্রেরণ করা হয়। মরদেহের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
অপরদিকে মঙ্গলবার রাতে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন দিঘির পাড় গ্রামের মৃত আরিফ হোসেনের ছেলে সাবু হোসেন উপজেলার পুটখালী ইউনিয়নে ইছামতি নদী সাঁতার দিয়ে ভারতীয় গরু পারাপারের জন্য ইন্ডিয়ান সীমান্তে গেলে বিএসএফ এর হাতে আটক হয়। বিএসএফ ভিকটিমকে প্রচুর মারধর করে বস্ত্রবিহীন অবস্থায় বাংলাদেশে সীমান্তে রেখে চলে যায়। ভিকটিম নিজে আহত অবস্থায় নাসিরের আম বাগানে আসলে স্থানীয় লোকজন তার বাড়িতে ফোন করে খবর দেয়। খবর পেয়ে নাসিরের মা এবং স্ত্রী গিয়ে তাকে ভোর ৪টার সময় নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে সাবু পানি খেতে চাইলে পানি খাওয়ার পরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পুলিশ এসে সাবুর মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কি ভাবে তাদের মৃত্যু হলো আমরা তদন্ত করছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে হয়তো মৃত্যুর কারণ জানাতে পারবো।
আরটিভি/এমকে-টি
মন্তব্য করুন