জামালপুরের মাদারগঞ্জে জামাই মেলায় মানুষের ঢল
জামালপুরের মাদারগঞ্জে মানুষের ঢল নেমেছে জামাই মেলায়। এই মেলাকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো জেলায়। মেলাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে জামাইরা শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। স্ত্রী সন্তান নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকবেন কয়েকদিন।
গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের পলাশপুরে ওই মেলা শুরু হয়। জানা যায়, এ মেলা চলবে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
স্থানীয়রা জানান, জামালপুরের মাদারগঞ্জের চরপাকেরদহ ইউনিয়নের পলাশপুরে প্রতি বছর বিজয় দিবসে ১৭ ডিসেম্বর থেকে ৭ দিনব্যাপী জামাই মেলার আয়োজন চলে। মেলাকে ঘিরে আয়োজকদের পক্ষ থেকে এ অঞ্চলের সারাদেশে থাকা জামাইদের শ্বশুরবাড়িতে আমন্ত্রণ করা হয়। দাওয়াত পেয়ে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মেলার এক দিন আগেই শ্বশুরবাড়িতে আসেন জামাইরা। শ্বশুর ও শাশুড়ি কাছ থেকে টাকা নিয়ে মেলা থেকে বড় মাছ, শ্বশুর ও শাশুড়ির জন্য পান-সুপারি কেনেন। ছোট শ্যালক শ্যালিকার জন্য নেন মিষ্টি। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা মেলায় কসমেটিকস, প্রসাধনী, খাবার, খেলনা, মিঠাই-মিষ্টান্ন ও মাছসহ বিভিন্ন ধরনের চার শতাধিক দোকান বসেছে। আছে চটপটি-ফুচকা থেকে শুরু করে মুখরোচক নানা ধরণের খাবারের দোকান।
মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা জানান, প্রতি বছর মেলায় আসতে এই অঞ্চলের জামাইরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শ্বশুরবাড়িতে আসেন। এই আয়োজনের কারণে পুরো এলাকায় আনন্দ এবং উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। তবে অবিবাহিত তরুণ-তরুণীরা বিয়ে না করায় মেলায় এসে হতাশা প্রকাশ করছেন।
এ বিষয়ে জামাই মেলার আয়োজন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, মেলার মূল উদ্দেশ্য হলো নাড়ির টান। জন্মসূত্রে মনের টান, সন্তানের প্রতি মায়ের স্নেহের টান। এই স্লোগানকে সামনে রেখে এটাকে আরও সুদৃঢ় করার জন্য সামাজিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করতে মূলত এই আয়োজন। মেলায় ৩২০টি দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২০০ কর্মী মেলার নিরাপত্তায় কাজ করছেন।
আরটিভি/এমকে
মন্তব্য করুন