সংঘর্ষে আহত শ্রমিক দল নেতার মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ
নরসিংদীর পাঁচদোনায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হওয়ার ৭ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইউনিয়ন শ্রমিক দল নেতা আলম মিয়ার (৫৫) মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম।
এদিকে তার এ মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে প্রায় দুই ঘণ্টা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে নিহতের সমর্থক, এলাকাবাসী ও শ্রমিকদলের নেতাকর্মীরা। আজ বিকেল সাড়ে ৩টায় বিক্ষুব্ধরা ঢাকা-সিলেট-মহাসড়কের পাঁচদোনা মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে হত্যার বিচারের দাবিতে স্লোগান দেয়।
এ ছাড়াও পাঁচদোনার সাকুরিয়া মোড়ে কয়েকটি দোকানে আগুন দিয়েছে বলেও খবর পাওয়া যায়। এ সময় মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা। প্রায় দুই ঘণ্টা পর পুলিশ, স্থানীয় বিএনপি নেতা ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেওয়া হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
নিহত আলম মিয়া নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের আলিমদ্দিনের ছেলে ও ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক।
এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে নরসিংদীর পাচঁদোনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির পাঁচদোনা ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি লাল মিয়া মেম্বার ও যুবদল নেতা মোসাদ্দেক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে মোসাদ্দেক ও তার লোকজন লাল মিয়া মেম্বারের লোকজনের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ পাঁচজন আহত হয়।
দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত পাঁচদোনা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আলম মিয়াকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে ৭দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে তার মৃত্যু হয়।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ১ ঘণ্টারও বেশি সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, এর আগে মারামারির ঘটনায় গত ১৯ ডিসেম্বর লাল মিয়া মেম্বারের ছেলে ইব্রাহিম মিয়া বাদী হয়ে মোসাদ্দেককে ১ নম্বর আসামি করে আরও ১৯ জনের নামে মামলা করেছেন। মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে বলেও তিনি জানান।
আরটিভি/এএএ/এস
মন্তব্য করুন