যে কারণে ৬ জনকে খুন করেন ইরফান, জানাল র্যাব
চাঁদপুরের হাইমচরের মাঝিরচর এলাকায় সাত খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার আকাশ মন্ডল ইরফান এম ভি আল বাকেরা জাহাজের মাস্টারের ওপর ক্ষোভ থেকেই তাকে হত্যা করেন। এ সময় জাহাজে থাকা অন্য সদস্যরা বিষয়টি ফাঁস করে দিতে পারেন, এমন আশঙ্কা থেকে বাকি ৭ জনকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন তিনি। এ ঘটনায় জাহাজের মাস্টারসহ সাতজন নিহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান জাহাজটির সুকানি জুয়েল। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিরাপত্তাব্যবস্থার মাধ্যমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছে নৌ-পুলিশ।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে র্যাব-১১ কুমিল্লা সিপিসি-২ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মেজর সাকিব হোসেন।
মঙ্গলবার দায়ের করা মামলা থেকে জানা গেছে, ওই জাহাজে ৮ জন নন, ৯ জন ছিলেন। আর ওই ব্যক্তি হলেন আকাশ মন্ডল ইরফান। কথা বলতে অপারগ সুকানি জুয়েল লিখে এ তথ্য জানান। পরে সাতজনকে খুনের ঘটনায় মামলা করেন জাহাজের মালিক মাহাবুব মুর্শেদ। মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা ডাকাত দলকে।
হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিরা হলেন- মাস্টার গোলাম কিবরিয়া, গ্রিজার মো. সজিবুল ইসলাম, লস্কর মো. মাজেদুল ইসলাম, শেখ সবুজ, সালাউদ্দিন, আমিনুর মুন্সী ও বাবুর্চি রানা কাজী। এ ছাড়া আহত হয়েছেন সুকানি মো. জুয়েল।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আহত জুয়েলের গলায় জখম থাকায় কথা বলতে না পারায় ডাকাত দলের বিস্তারিত বিবরণ দিতে পারেননি। তিনি সুস্থ হলে ডাকাত দল দেখলে চিনবেন বলে ইশারায় জানান। তবে জাহাজে ৯ জন ছিলেন বলে লিখে জানিয়েছেন জুয়েল। ৯ নম্বর ব্যক্তির নাম ইরফান। তবে তার ঠিকানা দিতে পারেননি।
ওই জাহাজ থেকে একটি রক্তাক্ত চাইনিজ কুঠার, একটি ফোল্ডিং চাকু, দুটি স্মার্টফোন, দুটি বাটন ফোন, একটি মানিব্যাগ, নগদ ৮ হাজার টাকা, একটি বাংলা খাতা, একটি সিল, একটি হেডফোন, একমুঠো ভাত ও এক টেবিল চা-চামচ তরকারি জব্দ করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুরের হাইমচরের মাঝিরচর এলাকায় এম ভি আল বাকেরা জাহাজে সাত খুনের সঙ্গে জড়িতের ঘটনায় ইরফানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
আরটিভি/এফএ
মন্তব্য করুন