শীতবস্ত্র বিতরণ করল দুর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন
থার্টি ফাস্ট নাইটে পার্টি না করে ‘কেবল কম্বল নয়, শীতের পোশাক করব দান, বেঁচে থাকুক সকল প্রাণ’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও শীতবস্ত্র বিতরণের প্রজেক্ট উদ্বোধন করেছে দুর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা মহানগরীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির সামনে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবু আবিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মো. গোলাম ফারুক মজনু।
এ সময় আশপাশের বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে ঘুরে বয়স ও পেশা ভেদে শতাধিক মানুষকে হরেকরকম শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এ প্রজেক্টের বিশেষত্ব হলো- বিভিন্ন বয়সের মানুষকে তাদের সাইজ ও পছন্দ অনুযায়ী শীতের পোশাক দেওয়া হয়। যা পরিধান করে সুবিধাবঞ্চিতরা শীত নিবারণ করে নিজেদের দৈনিক আয় নির্বিঘ্নে করতে পারবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. গোলাম ফারুক মজনু বলেন, দুর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন চমৎকার একটি উদ্যোগ প্রতি বছর শীতকালে সম্পন্ন করে। আমি তাদের এ ধরনের কার্যক্রম বিভিন্ন গণমাধ্যমের সুবাদে দেখেছি। তাদের আইডিয়া আমাকে অভিভূত করেছে। একজন কর্মজীবী মানুষ তিনি কম্বল পেলে তার ঘুমানোর সময় শান্তি পাবে। কিন্তু বিকাল থেকে রাত ১০-১১টা পর্যন্ত কাজের সময় তার প্রয়োজন জ্যাকেট এর মতো শীতবস্ত্র। শীতে যেন কষ্ট না পেয়ে তার নিজের কাজ চালিয়ে যেতে পারে, সেজন্যই সংগঠনটি এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তাদের এ ধরনের কার্যক্রমে পাশে থাকতে পেরে আমি আনন্দিত ও গর্বিত।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে দুর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবু আবিদ বলেন, আমরা প্রতি বছরই শীতবস্ত্র বিতরণ করে থাকি। আপনারা সবাই জানেন, দুর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন সবসময়ই ইউনিক আইডিয়া বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। পুরো বাংলাদেশে শীতবস্ত্র বিতরণের সামর্থ্য আমাদের নেই। তবে আমরা আজকের উপহার দেওয়ার মাধ্যমে একটা পথ দেখিয়ে দিলাম। বয়সভেদে হরেকরকম শীতবস্ত্র বিতরণ এর আগেও আমরা করেছি। তবে এবার নতুনত্ব হলো, থার্টি ফাস্ট নাইটে পার্টি করে কিংবা আতশবাজি ফুটিয়ে, টাকা নষ্ট না করে সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের পাশে এভাবে থেকেও আনন্দ করা যায়। আসুন , আমরা সবাই মিলে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াই। নিজ অবস্থান থেকে চেষ্টা করি।
এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. আব্দুল মান্নান, মুহাম্মদ আবু আদিল, শুভ সেন, মিরাজ হোসেন, তৌকির আহমেদসহ দুর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতারা।
শীতকালে সবাই সাধারণত কম্বল দেয়, তবে এরকম ব্যতিক্রমী বয়সভেদে নানারকম শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ তাদের আনন্দিত ও তীব্র শীতে কাজ করার উদ্যোম তৈরি করেছে বলে জানায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষজন।
আরটিভি/এমকে
মন্তব্য করুন