শীতে কাবু কুড়িগ্রামের মানুষ
কুড়িগ্রামে তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ১১ ডিগ্রির ঘরে। ঘন কুয়াশায় বেড়েছে দুর্ভোগ। শীতের তীব্রতায় দুর্ভোগে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষ। কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে চারদিক। ফলে রাতের পাশাপাশি দিনভর অনুভূত হয় শীত। এতে ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম। বিপাকে পড়েছে নদীপাড় ও চরাঞ্চলসহ ছিন্নমূল মানুষ। এ ছাড়া চরম বিপাকে পড়েছে খেটেখাওয়া ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ।
বুধবার (১ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশার ঘনত্ব বেশি হওয়ায় হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে ধীর গতিতে চলাচল করছে যানবাহন। কনেকনে ঠান্ডায় শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে আছেন হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবি মানুষ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাইরে বের হচ্ছেন না। শীতের দাপটে গ্রামাঞ্চলের অনেকেই খরকুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। তীব্র শীতে কাহিল হয়ে পড়েছেন কুড়িগ্রামের মানুষ। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসে কষ্টে পড়েছে মানুষসহ গৃহপালিত পশুপাখিরাও। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। শীতের দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছে কৃষি শ্রমিক ও স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন।
এ দিকে দিনের বেলা তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। ফলে দিন ও রাতে সমান শীত অনুভূত হয়। শীতে কষ্টে পড়েছে জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের দরিদ্র মানুষজন।
কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউনিয়নের ভ্যানচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন থেকে খুব ঠান্ডা পড়েছে। আজ ঘন কুয়াশার জন্য দুই হাত দূরের জিনিস দেখা যাচ্ছে না। সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। হাত-পা ঠান্ডায় জমে যাচ্ছে। কাজ করতে খুব সমস্যা হচ্ছে।
সোনাহাট স্থলবন্দরের শ্রমিক আমেনা বেগম বলেন, ‘ঠান্ডায় সকাল সকাল কাজে যোগ দিতে কষ্ট হয়। রাতে শীতের তীব্রতায় কষ্ট বেড়েছে, সকালে কুয়াশার কারণে এ কষ্ট তীব্র হয়েছে। ইতোমধ্যে শীত নিবারণে জেলার ৯ উপজেলায় ৪৯ লাখ টাকা ও ১২ হাজার কম্বল বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তা বিতরণ চলছে।’
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত ১ মাস ধরে এই অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠানামা করছে। আগামীতে আরও তাপমাত্রা কমে এ জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরটিভি/এমকে-টি
মন্তব্য করুন