টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পেল ২৫ শিশু-কিশোর
টানা ৪১ দিন মসজিদে তাকবির উলার সঙ্গে জামাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে একটি করে বাইসাইকেল পুরস্কার পেয়েছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ২৫ জন শিশু-কিশোর।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দারুস সালাম জামে মসজিদ কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোরদের মধ্যে এসব উপহার প্রদান করা হয়।
আয়োজক কমিটির অন্যতম সংগঠক মাসুদ আলাম জানান, গ্রামের শিশুরা যেন নামাজের গুরুত্ব উপলব্ধি করে মসজিদমুখী হয় এবং আল্লাহর হুকুম-আহকাম পালন করে সমাজে ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠা করতে পারে সেজন্য দারুস সালাম জামে মসজিদ কমিটি এই ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে স্থানীয় শিশু-কিশোরা মসজিদে এসে টানা ৪১ দিন নামাজ পড়েছে। প্রতি ওয়াক্তে ইমাম তাদের হাজিরা গণনা করেছেন।
পুরস্কারপ্রাপ্ত জুনায়েদ আবু ইফাজ ও মাসুদুল হাসান জানায়, ৪১ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে এখন মসজিদ ছাড়া নামাজ পড়তে ভালো লাগে না। শুরুতে পুরস্কারের আশায় নামাজে আসলেও এখন মন থেকে মসজিদে এসে নামাজ পড়তে ইচ্ছে করে। এমন সুন্দর আয়োজনের জন্য মসজিদ কমিটিকে ধন্যবাদ জানান তারা।
আয়োজনের সমন্বয়ক হাফেজ কুতুব উদ্দীন জানান, বিজয়ী ২৫ শিশুর মতো সমাজের অন্য শিশুদেরও প্রকৃত নামাজি করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ কাজে যারা সহযোগিতা করেছেন আল্লাহ যেন তাদের সবাইকে উত্তম বিনিময় দান করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাবেল উদ্দিন। তিনি বলেন, শিশুদের চরিত্র গঠনে এটি একটি চমৎকার উদ্যোগ। আমাদের সমাজে যখন মাদকের ছড়াছড়ি তখন নামাজ পড়ার প্রতিযোগিতা একটি প্রশংসনীয় আয়োজন। আমি মনে করি, প্রতিযোগী শিশুরা নামাজে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। তারা কোনো অন্যায় কাজে জড়াতে পারে না।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. কামাল হোসেন জানান, প্রতিযোগিতায় সাড়া দিয়ে প্রথম দিকে ৩২ শিশু-কিশোর নামাজ আদায় শুরু করলেও চূড়ান্ত পর্বে ২৫ শিশু বিজয়ী হয়েছে। এ ধরনের ধর্মীয় প্রতিযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। যেন তাদের দেখে অন্যরাও নামাজ আদায়ে উদ্বুদ্ধ হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মো. বেলায়েত হোসেন, উপজেলা হাসপাতাল মালিক সমিতির সভাপতি হাজী আব্দুল কুদ্দুছ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আলা উদ্দিন এবং বিশিষ্ট সমাজসেবক মিজানুর রহমানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
আরটিভি/এফএ/এআর
মন্তব্য করুন