স্বজনের লাশ দেখতে যাওয়ার পথে নিজেই হলেন লাশ
যশোরে মৃত স্বজনের মরদেহ দেখতে পারলেন না হারুন নামে এক ব্যক্তি। তার আগেই একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় তাদেরকে বহনকারী সিএনজি। এতে সিএনজি উল্টে ঘটনাস্থলে হারুনের মৃত্যু হয়। এ সময় সিএনজিতে থাকা আরও ৭ জন আহত হন।
নিহত হারুন যশোর সদর উপজেলার হাশিমপুর সরাইডাঙ্গা গ্রামের মৃত আহাদ আলীর ছেলে।
রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে যশোর-মাগুরা মহাসড়কের সদর উপজেলার বাহাদুরপুর বাফার সার গোডাউন এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. বিচিত্র মল্লিক।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, একই গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে বাচ্চু (৫০) তার স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩৫), ছেলে আবু বক্কর (৮), আশাদুলের স্ত্রী নাছিমা বেগম (৫০), আকবর আলীর ছেলে শামীম আহম্মেদ (৩২), শফিয়ার রহমানের ছেলে লিটন হোসেন (২৮) এবং কাশেম মোল্লার ছেলে ফারুক হোসেন (৪৫)।
হাসপাতালে আহতরা জানান, ঝিকরগাছা উপজেলায় এক স্বজনের মৃত্যুর খবর আসে। তখন হারুনসহ পরিবারের ৮ জন একটি সিএনজি ভাড়া করে ঝিকরগাছা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে যাত্রা শুরু করেন। পথিমধ্যে যশোর-মাগুরা মহাসড়কের বাহাদুরপুর বাফার সার গোডাউন এলাকায় পৌঁছালে কুয়াশায় দেখতে না পেয়ে একটি যাত্রীবাহী বাস সিএনজিকে ধাক্কা দেয়। তখন সিএনজি রাস্থার পাশে উল্টে গেলে ঘটনাস্থলে হারুনের মৃত্যু হয়। সিএনজিতে থাকা সকলে কমবেশি আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে ডা. বিচিত্র মল্লিক বলেন, ‘স্থানীয় লোকজন ৮ জনকে জরুরি বিভাগে আনেন। এরমধ্যে একজন মারা যান। এ ছাড়া দুজন নারী ও এক শিশুসহ আহত ৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
আরটিভি/এমকে
মন্তব্য করুন