ময়মনসিংহে জুয়ার আসর থেকে সাবেক কাউন্সিলরসহ আটক ৯
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ৯ নম্বর ভাংনামারী ইউনিয়ন কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হোসেনের জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। এ সময় আইনজীবী ও সাবেক কাউন্সিলরসহ ৯ জনকে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) দুপুরে আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ময়মনসিংহ চীফ জুডিশিয়াল আদালতে পাঠিয়েছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
এর আগে গতরাতে সদর উপজেলার ভাবখালী এলাকার কাচারী বাজার ও গৌরীপুর উপজেলার চরভাবখালীর সীমানা সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদের তীর থেকে ওয়ান-টেন জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা জুয়াড়ীদের বহনকারি পাজারো, প্রাইভেটকারসহ ৩টি বিলাসবহুল গাড়ি ও জুয়া সামগ্রী জব্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী কায়কোবাদ হোসনে (৪৯), জামালপুর পৌরসভার ৮ নং ওর্য়াডরে কাউন্সলির মাসুদ করিম (৫৫), মর্তুজা রেজা (৬৭), অরুন খান (৪৫), মোজাম্মলে (৫৫), মফিজুর রহমান (৫২), রুহুল আমিন (৫২), মোফাজ্জল হোসনে (৬০) ও রতন মন্ডল (৩২)।
কোতোয়ালি মডলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম খান, গৌরীপুর উপজেলা তাতীঁলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মফিদুল ইসলাম র্দীঘদিন ধরে দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী নদী সংলগ্ন একটি দুর্গম এলাকায় এই জুয়ার আসরটি চালিয়ে আসছিল। তবে গত ৫ আগস্টের পর মফিদুল ইসলাম ভারতে পালিয়ে যাওয়ায় বর্তমানে তার বড় ভাই গৌরীপুর উপজেলার ৯ নম্বর ভাংনামারী ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হোসেন এই জুয়ার আসরটি পরিচালনা করে আসছিলেন। এনিয়ে এলাকাবাসির অভিযোগের প্রেক্ষিতে একাধিকবার থানা পুলিশ অভিযান চালালেও বন্ধ হয়নি জুয়ার আসর। সর্বশেষ গোপন সংবাদে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে জুয়াড়ীদের মধ্যে ৯ জনকে আটক করে সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। তারা পেশাদার জুয়াড়ী বলে জানা গেছে।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় জুয়ার আসরের মালিক মোজাম্মেলসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জন আটক হলেও বাকিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার অভিযানে চলমান আছে।
আরটিভি/এএএ
মন্তব্য করুন