পাটগ্রামে ঘন কুয়াশা ও শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। বিকেল থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত শীত অনুভূতি বেশি হচ্ছে। ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ও খেটে খাওয়া মানুষ। শিশু ও বয়স্ক মানুষের মধ্যে বাড়ছে শীতজনিত নানান রোগের প্রকোপ।
বুধবার (৮ জানুয়ারী) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল ১০টা পর্যন্ত লালমনিরহাট - বুড়িমারী মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। ঘন কুয়াশার চাদরে চারিদিক আচ্ছন্ন হয়ে আছে। একটু উষ্ণতার জন্য মানুষ বাড়িতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। কৃষকরা শীত উপেক্ষা করে ফসলের মাঠে কাজে বেরিয়েছে। প্রচণ্ড এই শীতে বেড়েছে শীতের কাপড়ের কদর।
বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর এলাকার দিনমজুর সাগর ইসলাম বলেন, ‘আমি খুবই গরিব মানুষ। এই শীতেও মানুষের কাজ করতে হয়। কাজে না গেলে খাবো কি।’
কুচলীবাড়ী ইউনিয়নের মাস্টার পাড়ার বাসিন্দা কৃষক মোকছেদ আলম বলেন, ‘শীতে আমাদের সকাল বেলা কাজ করতে খুবই কষ্ট হয়। আমরা কৃষক মানুষ শীতে কষ্ট হলেও বাধ্য হয়ে কাজ করতে হয়।’
এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘এ অঞ্চলের আজকের তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।’
আরটিভি/এমকে
মন্তব্য করুন