মেহেরপুরে সবজির বাজারে দরপতন, বিপাকে চাষিরা
মেহেরপুরের হাটবাজারগুলোতে কমেই চলেছে সবজির দর। সব ধরনের সবজির ব্যাপক আমদানি থাকায় প্রতিদিনই পড়তির দিকে শীতকালীন সব ধরনের সবজির দর। এতে চাষিদের মধ্যে বিরাজ করছে হতাশা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রান্তিক ও বর্গা চাষিরা।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) কাঁচাবাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি আলু ২৪-২৫ টাকা, মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৩০-৩৪ টাকা, এলসি রসুন ১৯০ টাকা, সিম ৯-১০ টাকা, শসা ১৫-১৬ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ১০ টাকা, টমেটো ১৫-২০ টাকা, বাঁধাকপি ৫-৬ টাকা কেজি, ফুলকপি ২-৩ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজার দর থেকে কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেশি দরে খুচরা পর্যায়ে এসব সবজি বিক্রি হচ্ছে।
গাংনী কাঁচা বাজারের আড়তদার নাজমুল ইসলাম বলেন, মেহেরপুর জেলাসহ আশপাশের জেলায় ব্যাপকভাবে শীতকালীন সবজি আবাদ হওয়ায় দর পতন হয়েছে। দরপতনের ধারা আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
অব্যাহত দর পতনে চাষিদের মাঝে হাহাকার বিরাজ করছে। তবে গেল বছর সবজির সর্বোচ্চ চড়া মূল্যের পর এবার দর কমে যাওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মনে।
কয়েকজন চাষি জানান, অক্টোবর মাসে ব্যাপক বৃষ্টিপাতে শীতকালীন আগাম সবজিখেত বিনষ্ট হয়। এরপরে সব চাষি একসঙ্গে শীতকালীন সবজি আবাদ করেন। যা একসঙ্গে তোলার সময় হওয়ায় দর পাচ্ছেন না চাষিরা। অব্যাহত লোকসানের কবলে পড়ে চাষি পরিবারের বিরাজ করছে হাহাকার।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিজয় কৃষ্ণ বলেন, শস্য বিন্যাস নিয়ে চাষিদের সচেতন হতে হবে। কোন সময় কোন ফসল আবাদ করতে হবে সে বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। অন্যদিকে সবাই একযোগে একই ফসল আবাদ না করে ভিন্ন ভিন্ন ফসল আবাদ করা গেলে দর পতনের এই ধাক্কা সামাল দেওয়া সম্ভব বলে মনে করে কৃষি বিভাগ।
আরটিভি/এএএেএস
মন্তব্য করুন