বই বিনিময়ের মাধ্যমে জুলাই অভ্যুত্থানকে স্মরণ করলো পাঠকেরা
রাস্তার দু’পাশে ফুটপাতে সারি সারি সাজানো বইয়ের স্টলে উপচে পড়া ভিড়। ‘বই নয়, জ্ঞানের বিনিময়’ শ্লোগানে বই বিনিময় উৎসবের এই ভিড়ে আপনি যেমন খুঁজে পাবেন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া কাঁধে ব্যাগ ঝোলানো কিশোর-কিশোরীর দল, তেমনি দেখবেন প্রবীণ পাঠক। কখনো বা বাবার কাঁধে চড়ে আগমন ছোট্ট সোনামনিদের। এমন দৃশ্য দেখে কোনো আগন্তুক থমকে দাঁড়াতেই পারেন, কারণ বই নিয়ে এমন আয়োজনটাই যে অভাবনীয়।
চট্টগ্রামের জামালখানে এবারে বই বিনিময় করতে এসে নির্ধারিত স্টলগুলোতে গিয়ে পাঠকরা দেখতে পাচ্ছিলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের নামে নামকরণ করা ফ্রেম, ব্যানার, গ্রাফিতিতে আয়োজকরা ফুটিয়ে তুলেছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে। উৎসবস্থলকে সাজানো হয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানের নানা চিত্রে। সেসব চিত্রে ফিরে ফিরে আসে দ্রোহ-বেদনা-ক্ষোভের সেই দিনগুলো।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান মোড়ে স্টোরিটেলিং প্ল্যাটফর্ম ‘ফেইল্ড ক্যামেরা স্টোরিজ’ এর উদ্যোগে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় দিনব্যাপী ৬ষ্ঠ বই বিনিময় উৎসব। উৎসবের এবারের আয়োজনটি উৎসর্গ করা হয় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের উদ্দেশ্যে। আয়োজকরা জানান, সব মিলিয়ে এবারে অন্তত ৫৫০০ বই ছিল নানা স্টলে।
জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় বই বিনিময় উৎসব। উৎসবের উদ্বোধন করেন শরণার্থী ত্রান ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক এম এ মালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন নজরুল ইন্সটিটিউটের পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী।
বই বিনিময় উৎসবের সমন্বয়ক ও ফেইল্ড ক্যামেরা স্টোরিজের পরিচালক সাইদ খান সাগর বলেন, আমরা চার বছর আগে পাঠক তৈরির মহান উদ্দেশ্যে যে বই বিনিময় উৎসব শুরু করেছিলাম সেটা আমাদের জাতীয় সাংস্কৃতিক জীবনে বৈচিত্র্য ঘটিয়েছে। বইমেলার মতো বই বিনিময় উৎসবের জন্যও পাঠক এখন অপেক্ষা করে থাকেন। বিশেষ করে যারা বই কিনতে চান কিন্তু পারেন না অর্থাভাবে তাদের জন্য বই বিনিময় উৎসব বই পড়া অব্যাহত রাখতে সাহায্য করছে। বই বিনিময় উৎসব এই প্রজন্মের প্রতিক। আর এই প্রজন্মের গর্বের নাম জুলাই অভ্যুত্থান। তাই আমরা এবার ৬ষ্ঠ বই বিনিময় উৎসবকে জুলাইয়ের রঙ্গে সাজিয়েছি। জুলাইয়ের স্বাধিকারবোধ যেন সর্বদা জাগ্রত থাকে।
আরটিভি/এএএ
মন্তব্য করুন