চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুপক্ষ মুখোমুখি, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
চট্টগ্রামে জুলাই ঘোষণাপত্রের পক্ষে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিকে ঘিরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় দুপক্ষই চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে। সেখানেও উভয় পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে।
প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনের তিন নেতার বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ। তিনি বলেন, শনিবার বিকেলে ‘জুলাই ঘোষণাপত্রের’ পক্ষে নগরের বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। পরে ওয়াসায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষে আলোচনার জন্য বসলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক রিজাউর রহমান সেখানে গিয়ে মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। রিজাউর রহমানের সঙ্গে সাদিক আরমানসহ অনেকেই ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, এক পর্যায়ে আরেক সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ, রিজাউর ও সাদিক আরমানের নেতৃত্বে মাসউদসহ আমাদের অবরুদ্ধ করা হয়। প্রায় এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার পাশাপাশি আমাদের নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়। এতে সাতজন আহত হয়েছেন। ওই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে।
ওই সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়ক তানভীর শরিফ বলেন, আমি আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলাম। শরীরের যে অংশে গুলি লেগেছিল, ঠিক সেখানেই আজ আঘাত করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ সংবাদ সম্মেলন করার সময় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে গিয়ে হাজির হন কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি ও রিজাউর রহমান। এ সময় দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হট্টগোল হয়। রাসেল আহমেদের সমর্থকরা রিজাউর ও রাফিকে দেখে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দেন। রিজাউর ও রাফির সমর্থকরাও পাল্টা স্লোগান দেন।
এ সময় হামলাকারীদের সঙ্গে বসে সংবাদ সম্মেলন হবে না উল্লেখ করে উঠে দাঁড়ান রাসেল ও তার সমর্থকরা। তারা কনফারেন্স হল ত্যাগ করেন। তখন রাফি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন। তবে তিনি কথা শেষ করার আগেই স্লোগান দিতে দিতে আবার সেখানে প্রবেশ করেন রাসেলসহ তার সমর্থিত নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে রাফির কাছ থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেওয়া হয়। পরে দুপক্ষই সংবাদ সম্মেলন শেষ না করে বের হয়ে যান।
এ বিষয়ে খান তালাত মাহমুদ বলেন, ‘আলোচনা করার সময় আমাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়েছে। এর বাইরে কিছু হয়নি। কাউকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়নি। সবই মিথ্যা।’
আরটিভি/এমকে
মন্তব্য করুন