শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে নেচে-গেয়ে পাঠদান করেন শিক্ষকরা
শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন শিক্ষকরা। শিক্ষার্থীরা যেন আগ্রহ নিয়ে নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসে, সেজন্য প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত ২০ জন শিক্ষক ক্লাস শুরু আগেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নেচে গেয়ে আনন্দ উল্লাস করেন। এতে একদিকে যেমন ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের শরীর চর্চা হয় অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত বিদ্যালয়ে আসার আগ্রহের সৃষ্টি হয়। নেচে গেয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেন ঝিনাইদহ শহরের আদর্শ পাড়ার মর্নিংবেল বেল চিলড্রেন একাডেমির শিক্ষকরা।
২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত মর্নিংবেল চিলড্রেন একাডেমি নামক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নেচে গেয়ে পাঠদান এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। প্লে থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ৩০০ জন শিক্ষার্থী প্রতিনিয়ত বিদ্যালয়টিতে আসলে শিক্ষকরা নেচে গেয়ে তাদের সঙ্গে খেলায় মেতে উঠেন। এরপর শুরু হয় নিয়মিত পাঠদান। পাঠদানে এমন বিকল্প পদ্ধতি অনুসরণ করায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতি আগ্রহের সৃষ্টি হয় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের।
মর্নিংবেল বেল চিলড্রেন একাডেমির শিক্ষার্থী আইমান হক বলেন, আমি এ বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ি। এখানে শিক্ষকরা আমাদের বুঝিয়ে পড়িয়ে দেয়। অনেক ভালোভাবে পড়ায়। যে কারণে আমাদের বাসায় গিয়ে পড়তে হয় না। এ স্কুলে অনেক অনুষ্ঠান হয়। যার যা ইচ্ছা সে সেখানে অংশ নেয়। আমার ছোট বোনও এ স্কুলে পড়ে।
মর্নিংবেল বেল চিলড্রেন একাডেমির শিক্ষক ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, আমরা একটু ব্যতিক্রমভাবে বাচ্চাদের শেখায়। বাচ্চাদের সঙ্গে বন্ধু সুলভ আচরণ করে, মায়ের স্নেহ দিয়ে তাদের কাছে টানি। যেন তাদের পড়ালেখার ওপর আগ্রহ জন্মায়।
মর্নিংবেল বেল চিলড্রেন একাডেমির শিক্ষার্থীর অভিভাবক জেরিন সুলতানা বলেন, কোভিডকালে আমার বাচ্চাকে এখানে আমি ভর্তি করায়। এটা আমার জন্য অনেক ভালো অভিজ্ঞতা ছিল।
মর্নিংবেল বেল চিলড্রেন একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক শাহীনূর আলম লিটন জানান, শুরুতে সযত্ন পেলে বাড়বে শিশু বুদ্ধি, এ স্লোগানকে সামনে রেখে বিদ্যালয়টি ২০০২ সাল থেকে পথ চলা শুরু করে। আমাদের বিদ্যালয়টি সরকার কর্তৃক অনুমোদিত। এখানে প্লে-থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। আমাদের মূল উদ্দেশ্যে শিশুদের স্কুল মুখি করা, স্কুলবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা।
আরটিভি/এএএ-টি
মন্তব্য করুন