সাবেক প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে বর্তমান প্রেমিক নিহত
গাজীপুরের শ্রীপুরে এক পোশাক শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার প্রেমিকার সাবেক প্রেমিকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত যুবককে আটক ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মন্ডল।
নিহত সৈকত (১৯) বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি থানার হাওরাখালি চাঁন মিয়ার ছেলে। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি গ্রামের এমএইচসি অ্যাপারেলস লিমিটেড নামের কারখানার কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর পদে চাকরি করতেন। আর আটক আপেল মাহমুদ আমিনুর (১৮) বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার টেবাগাড়ি গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বগুড়া থেকে চাকরির সন্ধানে এসে এক নারীর সঙ্গে ছয় থেকে সাত মাস আগে পরিচয় হয় অভিযুক্ত আমিনুরের। পরিচয় থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে এক পর্যায়ে তা ভেঙে যায়। এ অবস্থায় একই কারখানায় চাকরির সুবাদে সৈকতের সঙ্গেও ওই নারীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সৈকত ও তার প্রেমিকার এ প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিলেন না আমিনুর। মঙ্গলবার রাতে সৈকত কারখানা থেকে ভাড়া বাড়িতে যাওয়ার সময় সিআরসি মোড় থেকে মোল্লা বাড়ি সড়কের মির্জা আলী জামে মসজিদের সামনে পৌঁছালে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন আমিনুর। পরে স্থানীয়রা সৈকতকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইদা ইমরোজ ইমা বলেন, সৈকতকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, এক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল আমিনুরের। সম্প্রতি আমিনুরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের ইতি টেনে সৈকতের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। বিষয়টি আমিনুর মেনে নিতে না পেরে সৈকতকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন। মঙ্গলবার স্থানীয় একটি বাজার থেকে তিনশ টাকায় ছুরি কিনে সন্ধ্যার পর থেকেই প্রস্তুতি নিতে থাকেন আমিনুর। রাত ৯টার দিকে সৈকত ভাড়া বাড়িতে যাওয়ার সময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আমিনুর প্রথমে সৈকতের ঘাড়ে আঘাত করেন। পরে শরীরে একাধিক জায়গায় উপর্যুপরি ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। ঘটনার পরপরই পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে এক ঘণ্টার মধ্যে ভাংনাহাটি এলাকা থেকে আমিনুরকে আটক করে। নিহতের স্বজনদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরটিভি/এমকে/এআর
মন্তব্য করুন