লক্ষ্মীপুরে বাসা-বাড়িতে বৈদ্যুতিক তার চুরির হিড়িক
লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন এলাকাতে বেড়েছে বৈদ্যুতিক তার চুরির হিড়িক। গত এক সপ্তাহে পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক বাসা-বাড়ির বৈদ্যুতিক তার চুরির ঘটনা ঘটেছে। প্রতিদিনই কারো না কারো বাড়ির তার চুরির ঘটনায় চোর আতঙ্কে রাত কাটছে এলাকাবাসীর।
গত শুক্রবার পৌর এলাকার শাঁখারীপাড়ার নীতিশ সাহার বাড়ির বৈদ্যুতিক তার কেটে নিয়ে যায় চোর চক্র। এর দুদিন পরে একই এলাকার সুজিত চক্রবর্তী, পলাশ শীল, সুশান্ত, জুলহাস কুরী, রতন, অ্যাডভোকেট শ্যামল কান্তিসহ প্রায় ২০টি বাসার বৈদ্যুতিক তার চুরি হয়েছে।
ভুক্তভোগী নীতিশ সাহা জানান, চোরেরা আমার বাসার পুরো তার কেটে নিয়েছে। চুরি শেষে তারের একাংশ ঝুলিয়ে রেখে যায় চোরেরা, যা থেকে যে কেউ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যেতে পারতো।
সুজিত চক্রবর্তী জানান, ‘রাতে বিদ্যুৎ চলে যায় হটাৎ করেই, সকালে বুঝতে পারি চোর বাসার তার কেটে নিয়ে গেছে। বেশির ভাগ সময় এসব চুরির সঙ্গে মাদক সেবনকারীরা জড়িত থাকেন। মাদকের টাকা সংগ্রহের জন্যই তারা এই চুরি করে।’
একই এলাকার বাসিন্দা সুমন সাহা জানান, গত কয়েক সাপ্তাহের ব্যবধানে পৌর শহরের শাঁখারীপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকাতে চুরি বেড়ে গেছে। এতে করে রাত হলেই চোর আতঙ্কে থাকে সবাই। চোরেরা বিদ্যুতের খুঁটি থেকে মিটার পর্যন্ত তার কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এখন প্রতিদিনই কোনো না কোনো বাড়ির তার চুরির ঘটনা শোনা যাচ্ছে।
স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করছেন, বিদ্যুৎ বিভাগের কিছু অসৎ কর্মচারী এই চক্রের পেছনে মদদদাতা হিসেবে থাকতে পারেন। কারণ বিশেষভাবে দক্ষ লোক ছাড়া এই তার চুরি করা সম্ভব নয়। চুরি হওয়া তার কোথায় বিক্রি করা হয় সেদিকে নজরদারি বাড়ালেই এই চোর চক্রকে শনাক্ত করা যাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
সদর মডেল থানার (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, ‘কয়েকটি বাসায় বৈদ্যুতিক তার চুরির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। দ্রুত জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
আরটিভি/এমকে/এআর
মন্তব্য করুন