গাইবান্ধায় বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে ইউপি সদস্য খুন
গাইবান্ধা সদরের বোয়ালীতে পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে আব্দুল জোব্বার (৭০) নামে ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জোদ্দ সরকারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল জব্বার বোয়ালী ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও নশরৎপুর এলাকার মৃত খেজুর উদ্দীনের ছেলে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, বোয়ালী ইউনিয়নের নশরৎপুর গ্রামের ওয়ারেছ আলীর প্রবাসী ছেলে ময়নুলের স্ত্রী শ্বশুরবাড়িতে না থেকে তার বাবার বাড়িতে থাকতেন। কিছুদিন থেকে তিনি তার ঘরের আসবাবপত্র বাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে পারিবারিক বিরোধ হয়। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর সালিশি বৈঠক আহ্বান করেন ওয়ারেছ আলী। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বিকেল ৩টার দিকে ইউপি সদস্য আব্দুর জোব্বারকে ডেকে আনেন ওয়ারেছ আলী। সালিশি বৈঠকে ওয়ারেছ আলীর পুত্রবধূকে আসবাবপত্র নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন আব্দুল জব্বার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওয়ারেছ আলীর পরিবারের সদস্যরা ইউপি সদস্য আব্দুল জোব্বারের ওপর হামলা চালান। আব্দুল জব্বারের দাড়ি-চুল টেনে ধরাসহ বুকে কাঠের পিঁড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়। এতে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটে পড়েন জব্বার। স্থানীয়রা আব্দুল জব্বারকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে বিকেলে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশ ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
বোয়ালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাবু বলেন, ওয়ারেছ আলীর পুত্রবধূ শ্বশুরবাড়িতে থাকতে চান না। তাই, তার আসবাবপত্র বাবার বাড়িতে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। শালিসে মেম্বার সেসব আসবাবপত্র নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিলে সানোয়ারের মেয়ে মুক্তা রানী মেম্বারের চুল-দাড়ি ধরে টানা-হেঁচড়া করেন। একপর্যায়ে তার বুকে পিঁড়ি দিয়ে আঘাত করেন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে আব্দুল জোব্বারকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
গাইবান্ধা সদর থানার ওসি শাহীনুর ইসলাম জানান, পারিবারিক বিবাদ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে ওই ইউপি সদস্যের মৃত্যু হয়। পরিবারের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরটিভি/এমএ/এআর
মন্তব্য করুন