ভুয়া জন্মসনদে বিয়ে, কনের বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

স্টাফ রিপোর্টার (চট্টগ্রাম), আরটিভি নিউজ

শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ , ১১:২৫ এএম


ভুয়া জন্মসনদে বিয়ে, কনের বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ফাইল ছবি।

চট্টগ্রামের পটিয়ায় ভুয়া জন্মসনদে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগে কনের বাবা ও মায়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। 

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) পটিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তাররাহুম আহমেদ এ পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে ভুয়া জন্মসনদ তৈরি করে গত বছরের ৫ জানুয়ারি নাবালিকা মেয়েকে সাবালিকা দেখিয়ে সামাজিকভাবে বিয়ে দেন তার বাবা–মা।

বিয়ের ৬ মাস পর গত বছরের ২৭ জুলাই যৌতুক দাবির অপরাধে বরের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেন কিশোরীর মা বুলু আক্তার। মামলার শুনানিকালে কিশোরীর জন্ম সনদ পর্যালোচনা করে আদালত জানতে পারে বিয়ের সময় প্রদত্ত জন্মসনদটি ভুয়া। কিশোরী বিয়ের উপযুক্ত ছিল না। এ কারণে বরের বিরুদ্ধে ২৭ জুলাই কনের মায়ের আদালতে দায়ের করা মামলা আদালতের বিচারক তাররাহুম আহমেদ খারিজ করে দেন। সেই সঙ্গে আদেশ দেন নাবালিকা হওয়ার পরও ভুয়া জন্মসনদ তৈরি করে সাবালিকা দেখিয়ে বিয়ে দেয়ার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের জন্য। আদালতের নির্দেশ পেয়েই পুলিশ কনের বাবা পটিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডস্থ হাবিবুর পাড়ার বাসিন্দা ফরিদ উদ্দিন ও তার স্ত্রী বুলু আক্তারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

বিজ্ঞাপন

বরের বাড়ি উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের আমির আলী ফকিরের বাড়িতে। বর মোহাম্মদ মামনুর রশিদ ওই এলাকার বাসিন্দা ফজল আহমদের ছেলে, পেশায় তিনি ব্যাংকার। 

তিনি বলেন, গত বছরের ৫ জানুয়ারি সামাজিকভাবে বিয়ের পর মাত্র ১৬ দিন তাদের সংসার হয়েছে। তার স্ত্রী বাবার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আর ফিরেননি। আর মা তার বিরুদ্ধে যৌতুকের মিথ্যা মামলা করতে আদালতে গিয়েছিলেন। সেখানে বিচারকের হাতেই ভুয়া জন্মসনদ তৈরির বিষয়টি ধরা পড়ে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলার আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, যাচাই-বাছাই ছাড়া কিশোরীর বিয়ে রেজিস্ট্রি করার অপরাধে রেজিস্ট্রার (কাজী) সোলাইমান চৌধুরীকেও আদালতে তলব করা হয়। গত বছরের ২৪ জুলাই কাজী আদালতে হাজির হয়ে কনের পিতা ও মাতার উত্থাপন করা জন্মসনদ মোতাবেক বিয়ে নিবন্ধন করা হয় বলে জানান। আদালত ভুয়া জন্মসনদ তৈরিতে কাজীর সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেন। পরে আদালতের নির্দেশে গত বছরের ১৯ আগস্ট এস আই আকরাম হোসেন বাদী হয়ে কিশোরীর বাবা ফরিদ উদ্দিন ও মা বুলু আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

বিজ্ঞাপন

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহেল জানান, ওই মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ভুয়া জন্মসনদ তৈরির সঙ্গে কনের পিতা ও মায়ের সংশ্লিষ্টতা পায়। এ কারণের তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রদান করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

আরটিভি/এএএ/এস

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission