নলছিটিতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ , ১০:২৯ পিএম


নলছিটিতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ছবি : আরটিভি

ঝালকাঠির নলছিটিতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে ক্ষয়ক্ষতির দেখিয়ে কাজ না করে সরকারি বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে কুশঙ্গল নিকারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম হোসেনের বিরুদ্ধে। 

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরকার কর্তৃক নতুন ভবন দেওয়ায় পুরাতন ভবনটি অনেক আগে থেকেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে এবং সেখানে কোন কার্যক্রম পরিচালনা হয়না। এ ছাড়া পুরাতন ভবনে গাছ পড়ে ক্ষতি হওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের ৮ মাস পার হলেও স্কুলের সীমানা প্রাচীরের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করেনি কর্তৃপক্ষ। 

জানা গেছে, গত ২৬ মে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এতে নিকাড়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সীমানা প্রাচীরের দেওয়াল ও পুরাতন ভবনের ওপর গাছ পড়ে ভেঙে যাওয়ার ক্ষতি দেখিয়ে আবেদন দেওয়া হয়, যার মেরামত বাবদ ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। 

বিজ্ঞাপন

প্রধান শিক্ষক সেলিম হোসেন ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার অনিতা রানীর দত্তর যোগসাজশে কাজ না করেই বিল তুলে নেওয়ার অভিযোগে  জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল হোসেন জানান, প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম সপ্তাহে দুই তিনদিন নামমাত্র কিছু সময়ের জন্য স্কুলে আসেন। সবার সাথে দেখা সাক্ষাৎ করে আবার চলে যায়। স্কুলে পড়ালেখার কোন শৃঙ্খলা নেই। সকল শিক্ষকেরা ১১ টার পরে স্কুলে আসেন। তাই এই এলাকার অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাকেরগঞ্জ থানার স্কুলে নিয়ে লেখাপড়া করান। এবং ঘূর্ণিঝড় রেমালে ভাঙা সীমানা প্রাচীরগুলো সেভাবেই পড়ে আছে। কোন মেরামতের কাজ হয়নি।

আসলাম সিকদার নামে আরেক এক বাসিন্দা জানান, ঘূর্ণিঝড়ে গাছ পড়ে সীমানা প্রাচীর ক্ষতি হয়েছে। তবে মেরামতের জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সেটা আমরা শুনিনাই। তবে কোন কাজ করা হয়নি। আর কাজ করলে তো আমরা সবাই জানতাম।

বিজ্ঞাপন

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম হোসেন বলেন, আমার ভাই উপসচিব এগুলো নিয়ে নিউজ হলেও আমার কিছুই হবে না। 

উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার অনিতা রানী দত্ত বলেন, সীমানা প্রাচীর ও পুরাতন ভবনের মেরামত না হলেও সরকারি নিয়ম মেনে এই বরাদ্দের টাকা দিয়ে ভাউচারের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে অন্য কাজ করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আ ব ম আসাদুল আলম বলেন, ঘটনার সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরটিভি/এএএ-টি 
 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission