‘শিক্ষার্থীদের পরিকল্পনাতেই গড়ে উঠবে ইতিহাস-ঐতিহ্য-সৃজনশীল কর্নার’
পঞ্চগড়ে প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গড়ে উঠবে ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সৃজনশীল কর্নার। আর এই কর্নার গড়ে তুলবে শিক্ষার্থীরা। তারা এর পরিকল্পনা ও পরিচালনা করবে। জেলা প্রশাসন এই উদ্যোগে সবধরনের সহযোগিতা দেবে। ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সৃজনশীল এই কর্নার প্রতিষ্ঠার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে কর্মশালার মাধ্যমে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী দ্বিতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় সার্কিট হাউসে।
জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী এই কর্মশালা পরিচালনা করেন। কর্মশালায় শিক্ষার্থীরা কর্নার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গড়ে উঠবে থ্রিডি আর্কিটেকচার মডেলে। এই কর্নারে থাকবে জেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির নানা বিষয়। থাকবে অডিও স্টেশন। এই অডিও স্টেশনে স্থানীয় ভাষা ও লোক সংস্কৃতির নানা অনুষঙ্গ রেকর্ড করা থাকবে। দর্শনার্থী, গবেষক বা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অডিও স্টেশন নানা বিষয় আহরণ করতে পারবে। কর্নারে থাকবে টাইম ট্রাভেল ওয়াল, অভিজ্ঞতার দেয়াল, আমি এসেছি’ শিরোনামের দেয়ালিকা, ঐতিহাসিক কর্নার, চিত্রকর্ম, জোন ফর ইন্টারেক্টিভ লার্নিং, জেলার আদর্শ ব্যক্তিদের পরিচয় ও কর্ম-ইতিহাস।
পঞ্চগড় জেলার নদ-নদীর নামে ৫টি দলে সংগঠিত হয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কর্মশালায় অংশ নেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জেলার ইতিহাস ঐতিহ্য, সংস্কৃতি নিয়ে একটি বিশেষ জ্ঞান ও আনন্দ ভিত্তিক কর্নার গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে জেলা প্রশাসন। এই কর্নার কেমন হতে পারে, কর্নারে কি কি থাকতে পারে এসব বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তাদের প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলা কর্নার যখন তাদের মতামতের ভিত্তিতে গড়ে উঠবে তখন তাদের স্মৃতি ও জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করবে। একই সাথে গড়ে ওঠা কর্নারটি সংরক্ষণ ও পরিচালনায় তাদের অপরিসীম আন্তরিকতা থাকবে।
কর্মশালায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সাহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরটিভি/এএএ
মন্তব্য করুন