মাদারীপুরের শিবচরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ইট-পাটকেলের আঘাতে বাদশা হাওলাদার (৫৫) নামে এক ব্যক্তির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শিবচর থানা ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল এলাকায় অবস্থান করছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবচর থানার ওসি মোহাম্মদ রতন শেখ।
নিহত বাদশা হালদার উপজেলার ভাণ্ডারী কান্দি গ্রামের কালাই হাওলাদারের ছেলে।
জানা যায়, সামান্য কথা-কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের করিম হাওলাদারের ছেলে ফরিদ হাওলাদারের গ্রুপের সঙ্গে বাদশা হাওলাদারের ছেলে বিল্লাল হোসেনের বিবাদ হয়। সেই ঘটনার মীমাংসার কথায় ভান্ডারীকান্দি হাই স্কুল মোড়ে গত ১২ জানুয়ারি উপস্থিত হন বাদশা হাওলাদার। ঠিক তখনই প্রতিপক্ষের এলোপাতাড়ি ইট-পাটকেল নিক্ষেপে গুরুতর আহত হয়ে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন তিনি। অবস্থার অবনতি হলে ওই দিনই উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় প্রেরণ করেন। কিন্তু ঢাকা মেডিকেলে টানা ২২ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আতায় এনে কঠোর শাস্তি দাবি করেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।
এদিকে এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে রাসেল হাওলাদার বাদী হয়ে শিবচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ওই গ্রামের রাজা ফকিরের ছেলে রুবেল ফকিরকে গ্রেপ্তার করে শিবচর থানা পুলিশ।
শিবচর থানার ওসি মোহাম্মদ রতন শেখ বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেছে অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা একজনকে আটক করেছি। এলাকার এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
আরটিভি/এমকে-টি