সংবাদ প্রকাশের জেরে শরীয়তপুরে সোহাগ খান সুজন নামে এক সাংবাদিকের ওপর প্রকাশ্যে হাতুড়ি দিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনি দৈনিক সমকালের জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। এ সময় তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসা আরও তিন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শরীয়তপুর পালং মডেল থানার ওসি হেলাল উদ্দিন।
জানা যায়, সাংবাদিক সুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অন্য তিনজন হলেন–নিউজ টোয়েন্টিফোর টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি বিধান মজুমদার অনি, বাংলা টিভির জেলা প্রতিনিধি নয়ন দাস ও দেশটিভির প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম আকাশ। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়য়েছে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছিল।
এ দিকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে শরীয়তপুরের সাংবাদিক সমাজ। তারা এ ঘটনায় দোষীদের দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, সম্প্রতি শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলার অভিযোগ নিয়ে দৈনিক সমকালসহ কিছু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে আজ দুপুরে সদর হাসপাতালে স্থানীয় ক্লিনিক ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান শেখের সঙ্গে সোহাগ খান সুজনসহ কয়েকজন সাংবাদিকের বাকবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়।
আহত সোহাগ খান সুজন বলেন, ‘নুরুজ্জামান শেখ ও তার লোকজন ছুরি ও হাতুড়ি নিয়ে আমার ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালান। এ ঘটনায় মামলা করা হবে।’
যদিও অভিযুক্ত নুরুজ্জামান শেখ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘রোববার সদর হাসপাতালে সোহাগ খান সুজনসহ কয়েকজন সাংবাদিক আমাকে লাঞ্ছিত করেছে। কোর্ট এলাকায় আজকে আবার তারা পরিকল্পিতভাবে আমার ওপর হামলা করে। এ সময় উপস্থিত লোকজন তাদের মারধর করেছে। আমি কারও ওপর হামলা করিনি।’
এ বিষয়ে শরীয়তপুর পালং মডেল থানার ওসি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনা জানতে পেরে আমি হাসপাতালে গিয়ে আহত সাংবাদিকদের খোঁজখবর নিয়েছি। এ ঘটনায় অভিযোগ অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরটিভি/এমকে-টি