কক্সবাজারের টেকনাফ শাহ পরীর দ্বীপ টানা জালে ধরা পড়ল ১৯৪ কেজি ওজনের একটি ভোল মাছ।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার সময় শাহ পরীর দ্বীপ ঘোলার চর এলাকার নাফ নদীতে এ মাছটি ধরা পড়ে।
শাহ পরীর দ্বীপ কোনা পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা কালু ফকিরের মালিকানাধীন টানা জালে ভোল মাছটি ধরা পড়ে। স্থানীয় ভাষায় এই মাছটি ভোল মাছ নামে পরিচিত।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন শাহ পরীর দ্বীপ ট্রলার মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হাসান।
ট্রলার মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হাসান বলেন, রোববার সকাল সাড়ে দশটার দিকে শাহ পরীর দ্বীপ ঘোলার চর এলাকার নাফ নদীর মোহনায় জেলেরা টানা জাল ফেলে। ঘন্টাখানেক পর জাল টানার চেষ্টা করে জেলেরা। এমন সময় ছোট ছোট মাছের সাথে এই বড় ভোল মাছটি জালে আটকে যায়। পরে জেলেরা নাফ নদী থেকে বড় মাছটি রশি বেঁধে টেনে টেনে চরের ওপরে তুলে নিয়ে আসেন। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় মাছটি শাহ পরীর দ্বীপ জেটিঘাটে নেওয়া হয়। ওই সময় মাছটি দেখতে ভিড় জমান স্থানীয়রা বাসিন্দারা।
শাহ পরীর দ্বীপ কোনা পাড়ার জালের মাঝি নুর মোহাম্মদ বলেন, জালে প্রথমবার ১৯৪ কেজি ওজনের বড় ভোল মাছ আটকা পড়েছে। মাছটি শাহ পরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে এনে মাছটির দাম হাঁকানো হয়েছিল ৩ লাখ টাকা। পরে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী নুরূল আলমের কাছে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকায় মাছটি বিক্রি করেছি।
স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী নরুল আলম বলেন, শাহ পরীর দ্বীপে প্রথমবারের মতো আজ এত বড় ভোল মাছ ধরা পড়েছে। গতবছরে এমন সময় সেন্টমার্টিন দ্বীপে ১৫০ কেজি ওজনের একটি ভোল মাছ ধরা পড়েছিল। সোমবার সকালে টেকনাফ পৌরসভার মাছ বাজারে মাছটি কেটে কেটে কেজিতে বিক্রি করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘শাহ পরীর দ্বীপের এক জেলে জালে একটি বিশাল মাছ ধরার খবর শুনেছি। স্থানীয় ভাষায় এটিকে ভোল মাছ বলা হলেও এর বৈজ্ঞানিক নাম রেইয়ামেস বলেই (raiamas-bola)। বিরল প্রজাতির এ মাছটি সব সময় পাওয়া যায় না। সাধারণত এখানে এত বড় মাছ ধরা পড়ে না। তবে শীত মৌসুমে ৫ থেকে ১৫ কেজি ওজন পর্যন্ত বোল মাছ জেলেদের জালে আটকা পড়ে।’
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরও বলেন, সাগরের মাছ ধরার ওপর বিভিন্ন ধরনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা যথাযথভাবে পালন হওয়ায় মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। আবার বড় মাছ জেলেদের জালে আটকা পড়লে সবাই দেখে আনন্দ পান, তেমনি জেলেরা ভালো দাম পাচ্ছেন।
আরটিভি/এমকে