ঢাকাবুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১

মৌলভীবাজারে এবার লাখো পর্যটক সমাগমের আশা

স্টাফ রিপোর্টার (মৌলভীবাজার), আরটিভি নিউজ

রোববার, ৩০ মার্চ ২০২৫ , ০২:০০ পিএম


loading/img
ছবি: আরটিভি

ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত মৌলভীবাজারের পর্যটন স্পটগুলো। আর পর্যটকদের বরণ করে নিতে নানাভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে মৌলভীবাজারের দেড় শতাধিক হোটেল মোটেল ও রিসোর্ট। উঁচু-নিচু পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে সবুজের গালিচায় মোড়ানো চা-গাছ। একইসঙ্গে পাহাড়ি ঝর্ণার কলতান। মৌলভীবাজার জুড়েই রয়েছে প্রকৃতির নানা নৈসর্গিক সৌন্দর্য। জেলায় প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা একাধিক লেক আর শতাধিক পর্যটন স্পটকে ঘিরে ঈদুল ফিতরের টানা ছুটিতে জেলার বিভিন্ন স্পটে লাখো পর্যটক ঘুরতে আসবেন বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। 

বিজ্ঞাপন

Moulvibazar_Lauachara_National_Park_Pic-06

এরইমধ্যে একাধিক কটেজ শতভাগ বুকিং হলেও হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট প্রায় ৬০ শতাংশ বুকিং সম্পন্ন হয়েছে। আর পর্যটকরা যাতে নিরাপদে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে পারেন- এর  জন্য জেলা পুলিশের পাশাপাশি ট্যুরিস্ট পুলিশও নিয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এমনটি জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ শ্রীমঙ্গল জোনের ইনচার্জ মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়দের ভাষ্য, এ জেলাটিকে সাজাতে কোনো কার্পণ্য করেননি বিধাতা। চা বাগানের সবুজ গালিচা লাউয়াছড়ার প্রাণ-প্রকৃতি কিংবা হাওরের অথই জল এ নিয়েই পযর্টন জেলা মৌলভীবাজার। সেই সঙ্গে রয়েছে- মাধবকুন্ড ও হামহাম জলপ্রপাত, প্রাণ প্রকৃতি আর জীববৈচিত্রের আধার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানসহ অসংখ্য পর্যটন স্পট। টানা এক মাস সিয়াম সাধনার পর কর্মজীবনের ক্লান্তি ভুলতে প্রতি ঈদে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সমাগম ঘটে এসব পর্যটনস্পট। বেড়ে যায় পর্যটন সংশ্লিষ্টদের ব্যস্ততা। নানাভাবে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা চলে হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলো। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। 

Moulvibazar_Hail_Hour_Pic-7

এরইমধ্যে অনেকেই বিভিন্ন স্থানের পর্যটকদের স্বাগত জানিয়ে বরণ করে নিতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। কেউবা আবার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রকৃতির সান্নিধ্যে গড়ে তোলা কটেজগুলোর প্রায় শতভাগ বুকিং সম্পন্ন হয়েছে। আর বড় পরিসরের হোটেল-মোটেলগুলোতে প্রায় ৬০ শতাংশ বুকিংয়ের কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে ঈদকে লক্ষ্য রেখেই অনেকে বিশেষছাড়ের ব্যবস্থা নেয়াতে বুকিং বেড়েছে। গেল বছরের চেয়ে এবারের এ ঈদে ভালো ব্যবসার আশাবাদী একাধিক ব্যবসায়া। 

বিজ্ঞাপন

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার একাধিক হোটেল মোটেল ও কটেজ ঘুরে দেখা গেছে, প্রত্যেকেই সাজ সজ্জায় বাজিয়ে রাখছেন তাদের প্রতিষ্ঠান। শুধু অপেক্ষা পর্যটকদের বরণ করে নিতে। পর্যটন সংশ্লিষ্টদের আশা একটি ভালো ব্যবসার।  

Moulvibazar_Eco_Village_Pic-05

শ্রীমঙ্গল রাধানগর এলাকার ‘নির্জন নেচার হাইড আউট’ রিসোর্ট এর তরুণ ম্যানেজার দুর্জয় দেব বর্মা জানান, এ ঈদে অনলাইনে ব্যাপক পর্যটকের সাড়া পাচ্ছেন। এরইমধ্যে ৭০ শতাংশ বুকিং হয়ে গেছে। 

বাহারি খাবারের রেস্টুরেন্ট চাউমিংয়ের মালিক ও ট্যুরিজমের সঙ্গে জড়িত তাপস দাস জানান, এবারের ঈদুল ফিতরের ঈদে দেশি বিদেশি ব্যাপক পর্যকটদের উপস্থিতি হবে। কাজেই তার এ রেস্টুরেন্টে মানসম্মত খাবার যাতে বজায় রাখা যায় সেটি খেয়াল রাখা হচ্ছে। 

Moulvibazar_Hum_Hum_Waterfall_Pic-3

শ্রীমঙ্গল রাধানগর পর্যটন কল্যাণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সামছুল হক বলেন, ঈদের টানার লম্বা ছুটিতে ভালো ব্যবসার আশা করছি। এ অঞ্চলে পর্যটকদের যাতায়াতের সুবিধায় একটি বিশেষ ট্রেন চালুর দাবি জানাচ্ছি। 

Moulvibazar_Eco_Village_Pic-04

এ দিকে ট্যুরিস্ট পুলিশ শ্রীমঙ্গল জোন ইনচার্জ মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, পর্যটকরা নির্বিঘ্নে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। 

পর্যটকদের জন্য মৌলভীবাজারের প্রধান পর্যটনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- শ্রীমঙ্গল উঁচু-নিচু পাহাড়ে ভাঁজে ভাঁজে সবুজের গালিচায় মোড়ানো চা-বাগান, খাসিয়া পুঞ্জি, মণিপুরি ও ত্রিপুরাদের গ্রাম, বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন, বাইক্কাবিল হাইল, বধ্যভূমি ৭১, নিমাই শিববাড়ী, শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ফিনলে চা বাগানের ভেতরে ডিনস্টন সিমেট্রি। জেলার উল্লেখযোগ্য পর্যটনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে আরও আছে- কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক, ধলই বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ, রাজকান্দি বন খাসিয়া পল্লী, হাম হাম জলপ্রপাত, কলাবন, বড়লেখায় মাধবকুন্ড জলপ্রপাত, হাকালুকি হাওর, রাজনগর উপজেলার কমলা রাণীর দীঘি, কাউয়াদীঘি হাওর, জলের গ্রাম অন্তেহরি।

আরটিভি/এমকে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |