কোল্ড ইনজুরিতে বোরো বীজতলায় ক্ষতি
দুই সপ্তাহের তীব্র শৈত্যপ্রবাহে মেহেরপুরে বোরো বীজতলা ক্ষতির মুখে পড়েছে। কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে অনেক বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বোরো ধান আবাদ করতে চারা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
জানা গেছে, গেলো তিন জানুয়ারি থেকে মেহেরপুর অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়। এসময় তাপমাত্রা নেমে যায় ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে ঘনকুয়াশায় বোরো বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে বীজতলায় চারা মরতে শুরু করে। কোনো কোনো বীজতলার চারা একেবারেই মারা যাচ্ছে।
চলতি মৌসুমে প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হতে পারে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ। গত মৌসুমে আবাদের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার হেক্টর। চলতি মৌসুমে বোরো ধান আবাদের জন্য কৃষি বিভাগের প্রদর্শনী প্লটের জন্য ব্রি ধান ২৮, ব্রি ধান ৫৮ ও ব্রি ধান ৫০ জাতের বীজতলা তৈরি করা হয়। এছাড়াও চাষি পর্যায়ে স্থানীয় জাত ছাড়াও ব্রি ধানের বেশ কয়েকটি জাতের চারা দেয়া হয়। কিন্তু কোল্ড ইনজুরির কারণে প্রায় অর্ধেক পরিমাণ চারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আফিল উদ্দীন আরটিভি অনলাইনকে জানান, তিনি ১০ বিঘা জমিতে ধান চাষের জন্য বীজতলা প্রস্তুত করেছিলেন। কয়েকদিনের তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আর ঘন কুয়াশায় বীজতলার অনেকাংশ নষ্টের পথে। বীজতলায় দেখা দিয়েছে কোল্ড ইনজুরি। চারাগুলো হলদে হয়ে গেছে। ওষুধ ছিটিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সময়মতো পরিচর্যা যারা করেছেন তাদের বীজতলা অনেকাংশে ভালো রয়েছে। তাই বীজতলা তৈরি ও বীজ নির্বাচনের ক্ষেত্রে চাষিদের আরও বেশি সক্রিয় থাকতে হবে।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কেএম শাহাবুদ্দীন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তাতে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা থাকছে। চাষিদেরকে বীজতলা রক্ষায় প্রতি রাতে বীজতলায় পানি জমিয়ে সকালে তা ছেড়ে দিতে হবে। ঘনকুয়াশা থেকে রক্ষায় প্রতি রাতে পলিথিন দিয়ে বেড ঢেকে রাখতে হবে। সেইসঙ্গে ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে।
আরও পড়ুন
জেবি/পি
মন্তব্য করুন