ঢাকাসোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

সন্তান চেয়ে পাগলা মসজিদের দানসিন্দুকে চিঠি

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ 

শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ , ০৩:৪১ পিএম


loading/img
ছবি: আরটিভি

সন্তান চেয়ে পাগলা মসজিদের দান সিন্দুকে চিঠি দিয়েছে এক নারী। 

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে পাগলা মসজিদের ১১টি দান সিন্দুক খোলার পর এই চিঠি পাওয়া যায়।

চিঠিতে লেখা রয়েছে, সম্মানিত বড় হুজুর আমার মনে বড় কষ্ট নিয়ে আমি এই পাগলা মসজিদে আসছি। আমার বিয়ে হয়েছে বার বছর চলতেছে। কিন্তু এখনও আমি কোন সন্তানের মা হতে পারলাম না। অনেক ডাক্তার দেখাইছি। কিন্তু কোন লাভ হয় নাই। আমি এমন কোন দিন নাই বা এমন কোন রাত নাই যে একটা সন্তানের জন্য আমার আল্লাহর কাছে হাত তুলে কাঁদি নাই। আমার মনে হয় আমি আমার জীবনে কোন পাপ করেছি, যার জন্য আল্লাহ আমার মতো পাপী বান্দীর দোয়া কবুল করতেছেন না। তাই আমি আপনাদের মতো আল্লাহর অলির নিকট আমার একটা নেক সন্তানের জন্য দোয়া ভিক্ষা চাই।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও লেখেন, আমার আল্লাহ তা-আলা যদি আপনাদের মতো অরীর দোয়ায় আমাকে একটা নেক সন্তানের মা হওয়ার সুযোগ দেন। তাহলে আমার মতো খুশি এই পৃথিবীতে আর কেউ হবে না। আমি আপনাদের মতো আল্লার অলির নিকট চির কৃতজ্ঞ থাকবো। আমার স্বামী ও আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমার আল্লাহ যেন আমাদেরকে একটা নেক সন্তান দান করেন। ন্যায়পথে চলার তৌফিক দেন এবং হালাল রিজিক এর ফয়সালা করে দেন। আর ইমানের সহিত যেন মৃত্যু দেন

উল্লেখ্য, শনিবার সকাল ৭টায় ৪ মাস ১১ দিন পর পাগলা মসজিদের ১১ টি দানসিন্দুক খোলা হয়। সিন্দুক খোলার পর টাকা পয়সা ছাড়াও স্বর্ণ, রুপা বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়।

পাগলা মসজিদের ১১ টি দান সিন্ধুক খোলে এবার ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। দেশি টাকার পাশাপাশি সেখানে ছিল স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশি মুদ্রাও। শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৭ টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কড়া নিরাপত্তায় সিন্দুক খুলে টাকা গুলো বস্তায় ভরা হয়। পরে মসজিদের ২য় তলার মেঝেতে ঢেলে ৯ টায় শুরু হয় গণনা কার্যক্রম।

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত বছরের ৩০ নভেম্বর সিন্দুক গুলো খোলা হয়েছিল। এ হিসেবে এবার ৪ মাস ১১দিন পর আবারও সিন্দুক খোলা হয়েছে। তখন রেকর্ড ২৯ বস্তায় ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা পাওয়া গেছে।

সিন্দুক খোলার সময় জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সেনা, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। দিনভর গণনা শেষে সন্ধ্যায় মোট টাকার পরিমাণ জানা যাবে।

টাকা গণনা কাজে জেলা প্রশাসনের ২৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ২৪৭ জন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, ১০ জন শিক্ষক, ১৪ জন সেনা সদস্য, ৩০ জন পুলিশ সদস্য, ১০ জন আনসার সদস্য, ৮০ জন ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারী অংশগ্রহণ করেছেন।

আরটিভি/এএএ 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |