বগুড়া হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, স্বাধীনতা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম মিল্লাত হোসেনকে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা।
সোমবার (৫ মে) রাতে বগুড়া শহরের ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মার্কেটের নিজ চেম্বার থেকে এস এম মিল্লাতকে আটকের পর মারধর করে পুলিশে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৬ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া ডিবির ওসি ইকবাল বাহার।
স্থানীয়রা জানান, বিকেল থেকে ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মার্কেটের নিজ চেম্বারে রোগী দেখছিলেন এস এম মিল্লাত হোসেন। রাত ৮টার দিকে এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় সংগঠক আবদুল্লাহ আল সানীর নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন নেতাকর্মী চেম্বারে গিয়ে তাকে ধরে বাইরে নিয়ে আসেন। এরপর তাকে টেনেহিঁচড়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়সংলগ্ন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কার্যালয়ে সোপর্দ করা হয়।
শহীদ আবদুল জব্বার সড়ক, কালিবাড়ী মোড় ও পৌরসভা লেন হয়ে ডিবি কার্যালয় পর্যন্ত নেওয়ার সময় এস এম মিল্লাতকে থেমে থেমে মারধর করা হয় এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেওয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইতোমধ্যে এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে আবদুল্লাহ আল সানী বলেন, গত ১৫ বছর এস এম মিল্লাত ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন। নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। মিল্লাত যাদের থেকে টাকা নিয়েও চাকরি দেননি, তেমন কয়েকজন ভুক্তভোগী এসে ২০২২ সালেই আমাদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তখন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। ৫ আগস্টের পর মিল্লাত ফেসবুকে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে নানাভাবে সহায়তা করছেন।
তিনি আরও বলেন, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগকে অর্থ সহায়তা করছেন এস এম মিল্লাত। তাকে ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরত এবং এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু তা তিনি শোনেননি। এ কারণে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বগুড়া জেলা ডিবি পুলিশের ওসি ইকবাল বাহার বলেন, রাত সোয়া ৮টার দিকে এনসিপির নেতাকর্মীরা এম এস মিল্লাতকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে সোপর্দ করেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরটিভি/এমকে/আইএম
